নয়াদিল্লি, 1 জুলাই: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোডের পক্ষে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, একই পরিবারের দু’জন সদস্যের জন্য কি দু’রকম আইন হতে পারে ? এবার মোদির দলের আরেক সিনিয়র নেতা মুখতার আব্বাস নকভিও এই আইন তৈরি করার পক্ষে সরব হলেন ৷ বিজেপির এই নেতার কথায়, এই আইন তৈরির এটাই সঠিক সময় ৷
সম্প্রতি ল’কমিশনের তরফে দেশবাসীর মতামত চাওয়া হয়েছে ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে ৷ একমাস সময়ও দেওয়া হয়েছে ৷ সেই সময় শেষ হতে আরও সপ্তাহ দুয়েক এখনও বাকি রয়েছে ৷ কিন্তু ল’কমিশন দেশবাসীর মতামত চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই নিয়ে বিজেপি বিরোধীরা সরব হয়েছে ৷ কেন্দ্রকে নিশানা করতে শুরু করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ৷ এই বিষয়ে নকভি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধীদের ৷ জানিয়েছেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে বিরোধীদের বিরত থাকা উচিত ৷ কারণ, এই আইন সবার জন্য সমতা ও ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে ৷
আরও পড়ুন:20 জুলাই শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন, পেশ হতে পারে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নকভির বক্তব্য অনুযায়ী, ইউনিফর্ম সিভিল কোড আসলে ভারতের সকল নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য হবে ৷ বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ও দত্তক গ্রহণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আইন আর ধর্মের উপর ভিত্তি করে হবে না ৷ ফলে সিভিল কোড দেশের সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রকারীদের কবল থেকে বের হবে, যা গত সাত দশক ধরে সংকীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে ৷ তাই এই বিধিকে তিনি প্রগতিশীল বলেও ব্যাখ্যা করেছেন ৷
সেই কারণেই এই আইন নিয়ে বিরোধীদের তাঁর পরামর্শ, এই নিয়ে বিরোধীদের বিবেকের কথা শোনা উচিত । কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে 1985 সালের শাহো বানো মামলার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন ৷ তাঁর মতে, সেই সময় কংগ্রেস যে ভুল করেছিল, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি তাদের আর করা উচিত নয় ৷ নকভির আরও দাবি, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তাদের নিজেদের দলের অবস্থান নিয়ে ক্ষুব্ধ ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিজেপির তরফে দেওয়া মূল তিনটি প্রতিশ্রুতির অন্যতম এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি করা ৷ বাকি দু’টির মধ্যে একটি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে 370 ধারা সরানো, যা 2019 সালের 5 অগস্ট করে ফেলেছে মোদি সরকার ৷ আরেকটি অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি ৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সেই মন্দির তৈরি হওয়ার পথে ৷ সম্ভবত আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগেই মন্দিরের দরজা খুলে যাবে ৷
আরও পড়ুন:কৃষকদের কল্যাণে বছরে কেন্দ্রের খরচ 6.5 লক্ষ কোটি টাকা, জানালেন প্রধানমন্ত্রী