আগরতলা, 18 অগস্ট :ত্রিপুরায় (Tripura) ফের তৃণমূলকে (TMC) পদে পদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে ৷ ত্রিপুরা সফররত তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী ৷ তিনি আগরতলার যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, খাবার খেতে না-দিয়ে, নানারকমভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ সায়নীর ৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷
ত্রিপুরা সফরে যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে নজরে নজরে রেখেছে বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) প্রশাসন ৷ শুধু তাই নয়, তিনি যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানেও নানাভাবে তাঁর কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে ৷ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নানা ঘটনার কথা তুলে ধরে এমনই অভিযোগ করলেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ৷ হোটেলে খাবার চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ এমনকী তাঁকে নাকি আলোচনা করতেও বাধা দিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ ৷ হোটেলের আধিকারিকের সঙ্গে এই নিয়ে বাক-বিতণ্ডার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সায়নী ৷ সেখানে লম্বা একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি লিখেছেন, "ত্রিপুরায় এসে বিজেপির গণতন্ত্রের যে বহর দেখলাম তাকে স্বৈরাচার বললে সেচ্ছাচারীর অপমান করা হয় ! আমরা ত্রিপুরায় যে স্বনামধন্য হোটেলে রয়েছি সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরে স্বৈরাচারকে তুঙ্গে তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি নামে এই দলটি ! হোটেল কর্তৃপক্ষকে উপর থেকে এমনই লজ্জাজনক চাপ তারা দিচ্ছে যে, সেখানে কোনও রকম আলোচনার জন্য 4-5 জন মিলে আমরা বসতেও পারছি না...খাবারের অর্ডার দেওয়া হলে জোর করে পুরোটাই বাতিল করা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন:TMC in Tripura : ত্রিপুরা আদালতে স্বস্তি তৃণমূলের, অভিষেকদের বিরুদ্ধে মামলায় ভিডিয়ো রেকর্ড তলব
ফাইভ স্টার হোটেলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন সায়নী ৷ তিনি লিখেছেন, "আজ দুপুরে প্রায় 2 ঘণ্টা 30 মিনিট ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়...আজ রেস্তরাঁতে খেতে গিয়ে চা ও কফি অর্ডার করা হয়েছিল, সঙ্গে কয়েকজন মিলে আলোচনা চলছিল, সেখানে বিজেপি থেকে চর মোতায়ন করা হয়েছিল এবং তারা এসে এ কথাও বলে যে আমরা নিজেদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করতে পারব না ! ভারতীয় সংবিধানে যে বাক স্বাধীনতা নামক বিষয়ের আলাদা করে উল্লেখ রয়েছে বিজেপির হয়ত সেটা কখনওই বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি ! ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গায় থেকে যে কোনও মানুষ স্বাধীন ভাবে রাজনৈতিক চর্চা করতে পারেন, গণতন্ত্রের গলা টিপে বিজেপি যে স্বৈরাচার ত্রিপুরাতে চালাচ্ছে সেটা তাদের এই লজ্জাজনক ব্যবহার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে !"