নয়াদিল্লি, 9 মে: রাতপোহালেই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন ৷ এই ভোটে জিতে দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি ৷ তবে হাল ছাড়তে নারাজ কংগ্রেসও ৷ তারাও প্রচারে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে ৷ বিজেপি যখন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ‘উপকারিতা’ বোঝাতে ব্যস্ত ছিল, সেই সময় কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল ৷
কিন্তু এই প্রচার যুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে আচমকাই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন ‘ভগবান হনুমান’ ৷ তার নেপথ্যে কংগ্রেসের ইস্তেহার ৷ যেখানে জানানো হয় যে ক্ষমতায় এলে সিদ্ধারামাইয়া-শিবকুমাররা বেশ কিছু কট্টরপন্থী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবেন ৷ সেই তালিকায় বজরং দলের নামও ছিল ৷ ফলে এই নিয়ে হইচই করে আসরে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবির ৷ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন ৷ বজরংবলিকে কংগ্রেস ‘তালাবন্দি’ করতে চান বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷
তাছাড়া নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বজরংবলির নামে জয়ধ্বনিও দিতে দেখা যায় ৷ বিজেপির অনেক নেতাও এই নিয়ে সরব হন ৷ যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কংগ্রেস এই ইস্যু নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় ৷ কারণ, দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতি সেভাবে কোনোদিন প্রভাব ফেলেনি ৷ তাই রাহুল গান্ধির দল অনেক বেশি চিন্তিত তাদের তরফে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি মানুষ কীভাবে গ্রহণ করবে, তা নিয়ে ৷
কংগ্রেস এবারের কর্ণাটকের নির্বাচনে পাঁচটি নিশ্চিয়তা দিয়েছে ৷ তার মধ্যে অন্যতম সংরক্ষণ 50 শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে 75 শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের জন্য 4 শতাংশ সংরক্ষণ-সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ৷ এই প্রতিশ্রুতি এবং বজরং দল ইস্যু জেডিএসের ভোট ব্যাংক ভাঙাতে সাহায্য করবে বলেই কংগ্রেসের ধারণা ৷