পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Cyclone Biparjoy: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়, ত্রাণ-উদ্ধারে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

গুজরাতের কচ্ছ জেলার দিকে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ৷ ঝড়ের পর ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী ৷ ঘূর্ণিঝড় 15 জুন সন্ধ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ।

Cyclone Biparjoy
Cyclone Biparjoy

By

Published : Jun 13, 2023, 8:06 PM IST

আমেদাবাদ, 13 জুন:ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গুজরাতের কচ্ছ জেলার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে গুজরাত প্রশাসন ৷ আসন্ন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও ৷ পশ্চিমের রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তার পরবর্তী সময়ে উদ্ধার ও ত্রাণে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে ।

মঙ্গলবার একজন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আছড়ে পড়ার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ত্রাণ দলগুলিকে প্রয়োজনে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রেখেছে । বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, "প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জনগণের দ্বারা অনুভূত কষ্টগুলি প্রশমিত করার দৃঢ় সংকল্পের কথা বিবেচনায় রেখে, ভারতীয় সেনাবাহিনী গুজরাতে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আছড়ে পড়ার পর স্থানীয়দের সহায়তা করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রেখেছে ৷"

মুখপাত্র জানিয়েছেন, বন্যা ত্রাণ দল ভুজ, জামনগর, গান্ধিধাম, ধরংধরা, ভাদোদরা এবং গান্ধিনগরের পাশাপাশি নালিয়া, দ্বারকা ও আমরেলিতে মহড়া দিয়েছে এবং বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে । সেনা কর্তৃপক্ষ বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি এনডিআরএফ-এর সঙ্গে যৌথভাবে ত্রাণকার্য চালানোর পরিকল্পনা করেছে ।

আরও পড়ুন:মুম্বই সংলগ্ন আরব সাগরে উথালপাথাল ঢেউ, জলোচ্ছ্বাস দ্বারকাতেও; দেখুন 'বিপর্যয়'

ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে ৷ তাদের সেরা অভ্যেসগুলি ভাগ করে নেওয়া এবং একে অপরের কাছ থেকে সেগুলি গ্রহণ করার কথা ভাবা হয়েছে ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং সংকটের সময়ে সম্পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ দমকা বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যে কোনও ক্ষতি কমানোর জন্য প্রতিবেশী রাজস্থানেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ৷

মঙ্গলবার আইএমডি জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিপর্যয়ের ৷ এর ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন উপকূলীয় জেলা থেকে 21,000 মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে । উপকূলের 10 কিলোমিটারের মধ্যে থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৷ অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় 150 কিলোমিটার (কিমি প্রতি ঘণ্টা) হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে ৷ ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাতের কচ্ছ, দ্বারকা এবং জামনগর জেলাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করতে পারে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details