নয়াদিল্লি, 25 সেপ্টেম্বর:বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gangrape Case) দোষী সাব্যস্তদের ইতিমধ্য়েই মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৷ প্রতিবাদে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি ৷ তাঁদের যুক্তি, এভাবে গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষীদের কখনওই ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে না ৷ দোষীদের ফের কারাগারে ঢোকানোর দাবিতে রুজু হয়েছে জনস্বার্থ মামলা (PIL) ৷ আর তাতে ক্ষেপে গিয়েছে এই মামলায় দোষীদের মধ্যে অন্যতম রাধে শ্য়াম (Radhey Shyam) ৷ সম্প্রতি বাকি 10 দোষীর মতো সেও মুক্তি পেয়েছে ৷ রাধে শ্যাম আদালতে একটি হলফনামা পেশ করেছে ৷
সেখানে সে বলেছে, যাঁরা পুনরায় দোষীদের সাজা দিতে চাইছেন, তাঁদের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই ৷ তাঁরা 'সম্পূর্ণ অপরিচিত' ৷ তাহলে তাঁরা কেন এই বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন ! আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় রাধে শ্য়াম দাবি করেছে, যদি বিলকিস বানো মামলায় এইসব অচেনা ব্যক্তিদের আবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাহলে যে কেউ যে কোনও বিষয়ে অকারণ নাক গলাবে ! তাই অবিলম্বে এই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করার দাবি জানিয়েছে রাধে শ্য়াম ৷
বিলকিস বানোর ঘটনায় রুজু হওয়া জনস্বার্থ মামলা প্রসঙ্গে রাধে শ্যাম বলে, "মামলাকারীদের মধ্যে এক নম্বরে যাঁরা নাম রয়েছে, সেই সুভাষিণী আলি একজন সিপিএম নেত্রী ৷ দ্বিতীয় আবেদনকারী হলেন রেবতী লাউল ৷ তিনি একজন সাংবাদিক ৷ এবং তৃতীয় মামলাকারী রূপরেখা বর্মা লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ৷" রাধে শ্যামের বক্তব্য হল, "এই তিনজনের সঙ্গে বিলকিস বানোর মামলার কোনও সম্পর্ক নেই ৷ বরং এঁদের সকলেরই কিছু রাজনৈতিক পরিচয় ও উদ্দেশ্য় আছে ৷ তাহলে আদালত কেন এঁদের মামলা মঞ্জুর করবে ?"