হায়দরাবাদ, 21 মে: কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে স্বামীর সঙ্গে ভরতি ছিলেন এক মহিলা । কিন্তু, সুস্থ হয়ে স্বামীকে দেখতে পাননি। এরপরই হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি । সেই অভিযোগ খারিজ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি 1 মে মারা গিয়েছেন । ঘটনায় হতবাক আলমপল্লি মাধবী নামে ওই মহিলা । হায়দরাবাদের ঘটনা ।
হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ কোরোনা আক্রান্ত স্বামী, অভিযোগ মহিলার - corona death
হায়দরাবাদের বনস্থালিপুরমের বাসিন্দা 42 বছরের মধুসূদন ও তাঁর স্ত্রী আলমপল্লি মাধবী গত মাসের 30 তারিখ কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে গান্ধি হাসপাতালে ভরতি হন । তাঁদের মধ্যে মধুসূদনের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না । ভরতি হওয়ার একদিন পরই তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
হায়দরাবাদের বনস্থালিপুরমের বাসিন্দা 42 বছরের মধুসূদন, তাঁর স্ত্রী আলমপল্লি মাধবী এবং তাঁদের সন্তান গতমাসের 30 তারিখে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে গান্ধি হাসপাতালে ভরতি হয় । তাদের মধ্যে মধুসূদনের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না । ভরতি হওয়ার একদিন পরই তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ওই একই হাসপাতালে ভরতি থাকার পরও এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি তাঁর পরিবার । 16 মে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁর খোঁজ পাননি স্ত্রী । এরপর তিনি গান্ধি হাসপাতাল থেকে কোরোনা আক্রান্ত স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার কথা টুইট করে সকলকে জানান ।
গান্ধি হাসপাতালের সুপার ড. রাজা রাও জানিয়েছেন, "আমি সত্যিটা বলতে চাই । 30 এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুসূদন নামে 42 বছরের এক ব্যক্তি কোরোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হন । তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না । শত চেষ্টা সত্ত্বেও 1 মে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান । এরপর নিয়ম অনুযায়ী পরিবারকে জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মৃতদেহটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা । পরিবার মৃতদেহ না নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে কর্পোরেশন থেকে সৎকারের ব্যবস্থা রয়েছে । কিন্তু বনস্থালিপুরমের ওই পরিবারের সকলেই হাসপাতালে ভরতি থাকা সত্ত্বেও সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছিল । ওই পরিবারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানূভূতি আছে । কিন্তু হাসপাতাল ও ডাক্তারদের উপর এমন মিথ্যা অভিযোগ কখনওই মেনে নেওয়া যায় না । তাঁরাও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ।"