পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

"আমার ছেলে অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে"

গতকালের ঘটনায় দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ছেলেকে হারিয়েছি৷ ও দেশের সেবায় প্রাণ দিয়েছে৷ আমি ছাত্রাবস্থায় ভারতীয় সেনায় যোগদান করতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু কিছু কারণে আমি যোগ দিতে পারিনি ৷ কিন্তু আমার ছেলে আমার স্বপ্ন পূরণ করেছে ৷ বললেন লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ কর্নেল বি সন্তোষ বাবুর বাবা ৷

santosh
santosh

By

Published : Jun 17, 2020, 2:28 AM IST

Updated : Jun 17, 2020, 2:37 AM IST

হায়দরাবাদ, 17 জুন : লাদাখে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষে শহিদ জওয়ানদের একজন কর্নেল বিক্কমাল্লা সন্তোষ বাবু ৷ তাঁর বাড়ি তেলাঙ্গানার সুরিয়াপেট জেলায় ৷ 2004 সালে ভারতীয় সেনায় যোগদান করেছিলেন ৷ গত দেড় বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্তে নিযুক্ত ছিলেন বছর সাঁইত্রিশের বিক্কমাল্লা সন্তোষ বাবু ৷ অভিজ্ঞা ও অনিরুদ্ধ নামে যথাক্রমে নয় ও চার বছরের দুটি সন্তান রয়েছে তাঁর ৷ নতুন ব্যাটেলিয়ন নিযুক্ত হতে দেরি হওয়ায় তাঁরা গালওয়ানে ছিলেন ৷

গতরাতে লাদাখের ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় ৷ যার জেরে শহিদ হন ভারতীয় সেনার তিন জন ৷ পরে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে জখম 17 জওয়ানের মৃত্যু হয় । সংঘর্ষে প্রথম যে তিনজন শহিদ হন, তাঁদের মধ্যে একজন কর্নেল বি সন্তোষ বাবু ৷

ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা বিক্কমাল্লা উপেন্দর । তিনি বলেন, "কর্নেল সন্তোষ বাবু আমার ছেলে ৷ গতকালের ঘটনায় দুর্ভাগ্যবশত সে মারা যায় ৷ আমাদের ছেলেকে এই ভাবে হারিয়ে ফেলব আমি ও আমার স্ত্রী ভাবিনি ৷ ওকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল৷ আমি সারা জীবন ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি৷ কিন্তু ওকে কখনও বুঝতে দিইনি ৷ কারণ আমি চাইনি আমাদের স্বপ্নগুলো ওর উপর চাপ সৃষ্টি করুক ৷ কিন্তু গতকালের ঘটনায় দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ছেলেকে হারিয়েছি ৷ ও দেশের সেবায় প্রাণ দিয়েছে ৷ এটা আমাকে গর্বিত করেছে ।"

SBI-এর অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার উপেন্দর আরও জানান, "আমি ছাত্রাবস্থায় ভারতীয় সেনায় যোগদান করতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু কিছু কারণে যোগ দিতে পারিনি ৷ তারপর আমি বিয়ে করি৷ আমাদের ছেলে হয়৷ আমি আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি ৷ আমি আমার ছেলের মধ্যে ক্রমাগত প্রগতি ও উন্নতি লক্ষ্য করি ৷ বাড়িতে ছেলেকে তৈরি করতে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছে আমার স্ত্রী ৷ ওর পড়াশোনা বাড়ির কাজে সাহায্য করেছে ওর মা ৷ দ্বাদশ শ্রেণির পর আমি একজন অভিভাবক হিসেবে ওকে পথ দেখাতে পারিনি ৷ কিন্তু আমি ওকে বলেছিলাম তুমি সেনায় যোগদান করতে পারো৷ বা যদি তুমি চাও তাহলে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করতে পারো ৷ কিন্তু সেনায় যোগদান নিয়ে ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল৷ যখন সবাই ওকে জিজ্ঞেস করেছিল যে সে কেন সেনায় যোগদান করতে চায়, তখন ও গর্বের সঙ্গে বলেছিল, সেনায় যোগদান করলে কি ভুল আছে ৷ তারপর ও ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে যোগদান করে৷ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমার ছেলে আমাদের অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে ৷ পড়াশোনা, ফিল্ডে কাজ সমস্ত কিছুতে ও দক্ষ ৷ আজ সন্তোষের খবরটা জানতে পেয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি ৷ আমার সব স্বপ্নগুলো ভেঙে গেছে ৷ আমি আমার ছেলেকে হারিয়ে ফেললাম ৷"

Last Updated : Jun 17, 2020, 2:37 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details