পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

সরকারি হেল্পলাইনে সিঙাড়ার আবদার, ড্রেন পরিষ্কারের শাস্তি ব্যক্তিকে

জেলা প্রশাসনের হেল্পলাইনে ফোন করে সিঙাড়া চাইল উত্তরপ্রদেশের রামপুরের এক বাসিন্দা। সিঙাড়া পেয়েছেন । তবে এজন্য ড্রেন পরিষ্কার করার শাস্তি পেয়েছেন তিনি ।

By

Published : Mar 30, 2020, 9:59 PM IST

Published : Mar 30, 2020, 9:59 PM IST

সরকারি হেল্পলাইনে সিঙাড়ার আবদার, ড্রেন পরিষ্কারের শাস্তি ব্যক্তিকে
সরকারি হেল্পলাইনে সিঙাড়ার আবদার, ড্রেন পরিষ্কারের শাস্তি ব্যক্তিকে

লখনউ, 30 মার্চ : লকডাউনের জেরে স্তব্ধ দেশ । এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষের জন্য হেল্পলাইন পরিষেবা চালু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার । এবার সেই হেল্পলাইনে ফোন করে বাড়িতে সিঙাড়া দিয়ে যাওয়ার কথা বললেন উত্তরপ্রদেশের রামপুরের এক বাসিন্দা । সিঙাড়া পেয়েছেন, তবে শাস্তি হিসেবে এলাকার ড্রেনগুলি পরিষ্কার করতে হয়েছে তাঁকে ।

রোজকার মতো কোরোনা নিয়ে নানা কল আসছিল হেল্পলাইনে । সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনে নানারকম তথ্য দিচ্ছিলেন কর্মীরা । কিন্তু এরমাঝেই গরম সিঙাড়া চেয়ে হেল্পলাইনে ফোন করেন রামপুরের এক ব্যক্তি । একবার নয়, বারংবার ফোন করেন তিনি। তাঁর ফোনের জেরে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে ওঠেন হেল্পলাইন পরিষেবার কর্মীরা । শেষমেশ এই ব্যক্তিকে জব্দ করার জন্য এক ফন্দি আঁটেন জেলাশাসক অনুজানেয়া কুমার সিং । সিদ্ধান্ত হয় সিঙাড়া দেওয়া হবে ওই ব্যক্তিকে । তার বদলে এলাকার সমস্ত ড্রেন সাফ করানো হবে তাঁকে দিয়ে।

এদিকে ফোনের আবদার মতো বাড়ির দরজায় হাজির গরম সিঙাড়া । কিন্তু তার পিছনেই দাঁড়িয়ে জেলা প্রশাসনের লোকজন । গরম সিঙাড়া খেয়েছেন । কিন্তু ড্রেন পরিষ্কার করতে চাননি । শেষমেশ প্রশাসনিক কর্মীদের নজরদারিতে খানিকটা বাধ্য হয়েই পরিষ্কার করতে হয় এলাকার সমস্ত ড্রেন ।

কোরোনার সংক্রমণ ও লকডাউনের আপাতত স্তব্ধ পুরো রাজ্য । এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষজন । একে রুজি-রোজগার বন্ধ । তারউপর ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই মারণ ভাইরাস । অনেকাংশে সচেতনতার অভাবও রয়েছে এদের মধ্যে । মানুষজন যাতে সহজে কোরোনায় চিকিৎসা সহ সমস্তরকম তথ্য পেতে পারেন সেকথা মাথায় রেখেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে হেল্পলাইন পরিষেবা চালু করা হয়েছে । কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাতেও গত কয়েকদিন ধরে এইরকম কিছু উদ্ভট ফোন এসেছে । ফোন করে কেউ সিঙাড়া, কেউ বা পিৎজা দিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন । এই ঘটনার পর টুইট করেন জেলাশাসক অনুজানেয়া কুমার সিং । তাঁর আবেদন, এই ধরনের কল করে যাতে কেউ আর বিরক্ত না করে ।

কোরোনা মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ সরকার একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে । যদি কেউ অসুস্থ বোধ করেন বা কোরোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায় তাহলে সরাসরি হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন । তাছাড়াও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন নম্বর 1076।

ABOUT THE AUTHOR

...view details