বিশাখাপটনম, 11 মে : দিন কয়েক আগে বিশাখাপটনমের LG পলিমার্স থেকে স্টাইরিন লিক করার ঘটনায় শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন । এক শিশুসহ মৃত্যু হয় 12 জনের । অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন । ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে । প্রশাসনের তরফে প্ল্যান্ট সংলগ্ন এলাকাগুলিতে আবার বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কিন্তু এলাকার জল সরবরাহ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা । কোথাও এই বিষাক্ত স্টাইরিন জলে মিশে যায়নি তো ? তাহলে কিন্তু বড়সড় বিপদ হতে পারে । ইতিমধ্যেই জলাধারগুলির কয়েকটি থেকে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে । স্থানীয় প্রশাসন জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু করেছে ।
গ্যাস লিকের জেরে প্ল্যান্ট সংলগ্ন আশপাশের পাঁচটি গ্রামের জলাশয় দূষিত হয়েছে বলে জানা গেছে । স্থানীয়দের দাবি, এই রাসায়নিক গ্যাস লিকের জেরে এলাকার জলাধারগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত । কারণ জলস্তরে রাসায়নিক কণাগুলি ভাসতে দেখা গেছে । এর জেরে অনেক মাছের মৃত্যুও হয়েছে । ইতিমধ্য়েই CSIR ও ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়রিং ইনস্টিটিউটের একটি বিশেষজ্ঞ দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে । তাদের পরামর্শ, ওই রাসায়নিক প্ল্যান্টের আশপাশের জলের ট্যাঙ্কগুলি খালি করে পুরোপুরি পরিষ্কার করা উচিত ।
প্রশাসনিক আধিকারিকরা পাঁচটি গ্রামকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করেছেন । জানিয়েছেন, যে যার নিজের এলাকায় ফিরে আসতে পারেন তাঁরা । তবে গ্রামবাসীরা যাঁরা বাড়ি ফিরবেন, তাঁদের খোলা জায়গায় রাখা জিনিসপত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে । কিন্তু এই গ্যাস কী পরিমাণে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় । বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মৃত গবাদি পশু এবং অন্যান্য প্রাণীদের দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে । যদি এই মুহূর্তে বাসিন্দারা এলাকায় ফিরে আসেন । তাহলে তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ।