জামিয়ায় লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ ? ভিডিয়ো ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

15 ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর চড়াও হওয়ার উপর অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে । অভিযোগ ওঠে লাঠিচার্জের । জখম হন একাধিক পড়ুয়া । গতকাল জামিয়া কোর্ডিনেশন কমিটির তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওলড রিডিং হলের 49 সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় । সেখানে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে সেদিন লাইব্রেরিতে ঢুকেছিল পুলিশ । যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর দাবি এইরকম কোনও ভিডিয়ো প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় ।

দিল্লি, 16 ফেব্রুয়ারি : জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের 15 ডিসেম্বরের CCTV ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে । সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, লাইব্রেরিতে বসে পড়ছেন পড়ুয়ারা । এই সময় পুলিশ লাইব্রেরিতে ঢোকে । এলোপাথাড়ি লাঠি চালাতে থাকে পড়ুয়াদের উপর । ছোটাছুটি করতে থাকেন পড়ুয়ারা । এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায় । যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর দাবি, এইরকম কোনও ভিডিয়ো প্রকাশ করেনি তারা ।

গত বছর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর প্রতিবাদে আন্দোলন করেছিলেন জামিয়ার পড়ুয়ারা । 15 ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর চড়াও হওয়ার উপর অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে । অভিযোগ ওঠে লাঠিচার্জের । জখম হন একাধিক পড়ুয়া । গতকাল জামিয়া কোর্ডিনেশন কমিটির তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওলড রিডিং হলের 49 সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় । সেখানে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে সেদিন লাইব্রেরিতে ঢুকেছিল পুলিশ । পড়ুয়াদের উপর চড়াও হয়েছিল ।

ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা করেন নেটিজ়েনরা । রাজনৈতিক মহলে ঝড় তোলে এই ভিডিয়ো । কড়া সমালোচনা করে বিরোধীরা । কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরস্ত্র পড়ুয়াদের উপর দিল্লি পুলিশের নৃশংসতা প্রকাশ্যে এসেছে । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিশ মিথ্যে বলেছিল যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকনি । যদিও BJP-র তরফে দাবি অন্য । তাদের দাবি, এই ভিডিয়ো প্রমাণ করে যে অশান্তিতে অংশ নেওয়া ছাত্ররা লাইব্রেরিতে লুকোতে চেয়েছিল । এরপর আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে । পুলিশ সূত্রে এই দ্বিতীয় ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয় । যেখানে দেখা যায়, অন্তত 50 জনের একটি দল পুলিশ প্রবেশের আগে টেবিল দিয়ে দরজা আটক করছে । পুলিশের অভিযোগ তারা আন্দোলনকারীই । একজনের হাতে পাথরও দেখা যায় ।

জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয় সেই প্রসঙ্গে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, লাইব্রেরির কোনও ভিডিয়ো তাদের তরফে প্রকাশ করা হয়নি ।