পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

হুমকি দিয়েছিল ধর্ষক, উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতার বাবাকে গুলি করে খুন - উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

গতবছর অগাস্টে একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আচমন উপাধ্যায় নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ জানায় । কিন্তু গ্রেপ্তার হয়নি আচমন । আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় । এরপর থেকেই শুরু হয় হুমকি । কিশোরীর বাবা সোমবার বাড়ি ফিরছিলেন । পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময়ই তাঁর রাস্তা আটকায় আচমন । তাঁকে গুলি করে । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় কিশোরীর বাবার ।

uttarpradesh
উত্তরপ্রদেশ

By

Published : Feb 12, 2020, 10:09 PM IST

Updated : Feb 12, 2020, 10:54 PM IST

লখনউ, 12 ফেব্রুয়ারি : বর্বরতার আরও এক দৃষ্টান্ত উত্তরপ্রদেশে । এবার ফিরোজ়াবাদে ধর্ষিতার বাবাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । অভিযোগ, ওই ব্যক্তিই গত বছর মৃত ব্যক্তির 15 বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে । কিন্তু ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহারের জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে বারাবার হুমকি দিচ্ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি আচমন উপাধ্যায় । কথায় না গুরুত্ব দেওয়ার জন্যই ধর্ষিতার পরিবারের উপর আঘাত আনল সে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীর বাবা সোমবার বাড়ি ফিরছিলেন । সেই সময়ই তাঁর রাস্তা আটকায় আচমন । তাঁকে গুলি করে । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় কিশোরীর বাবার । নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার না করার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছে আচমন ।

গতবছর অগাস্টে একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আচমন । থানায় এই অভিযোগ জানায় কিশোরীর পরিবার । কিন্তু গ্রেপ্তার হয়নি আচমন । আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল । এরপর থেকেই শুরু হয় হুমকি । প্রায়ই কিশোরীর পরিবারকে ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিত সে । গত সপ্তাহে কিশোরীর পরিবারকে আবার ধমকায় আচমন । স্পষ্ট জানায়, ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার না করলে পাঁচ দিনের মধ্যে তাদের পরিবারের এক সদস্যকে সে মেরে ফেলবে । এই বিষয় জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে কিশোরীর পরিবার । কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি ।

এক পুলিশ আধিকারিক সতীশ গণেশ জানিয়েছেন এই বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই তিনজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । পাঁচজন পুলিশের একটি দল গঠন করা হয়েছে । অভিযুক্তকে খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে । যে খুঁজে বার করতে পারবে তার জন্য 50,000 টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে ।

উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষা এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার । উন্নাও ধর্ষণ এবং ধর্ষণের অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার সমালোচনা হয়েছে । গত বছর, উন্নাওয়ের আরও এক ধর্ষিতাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় অভিযুক্তরা । হাসপাতালে মৃত্যু হয় সেই যুবতির । সেইবারও প্রশাসনের ভূমিকা ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল । প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, কেন মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারেন না যোগী? সাম্প্রতিক সরকারি নথি অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে আইন-প্রশাসনের সবথেকে খারাপ রেকর্ড রয়েছে । ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে মহিলাদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের সংখ্যা উত্তরপ্রদেশে সর্বোচ্চ ।

2018 সালে প্রকাশ্যে আসে উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের কথা । অপরাধী প্রাক্তন BJP বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার । সেই ক্ষেত্রেও যুবতির বাবাকেও পুলিশ স্টেশনের মধ্যে মৃত্যু পর্যন্ত মারার অভিযোগ উঠেছিল প্রশাসন ও কুলদীপ সেঙ্গারের সহযোগীদের বিরুদ্ধে । আদালতে শুনানি চলার সময় আদালতে যাওয়ার পথে নির্যাতিতার গাড়িতে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর দুই আত্মীয়ার । এইবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । ধর্ষণ মামলায় প্রশাসনের গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা । অভিযুক্তের হাতেই মৃত্যু নির্যাতিতার বাবার । এই ক্ষেত্রেও কী পদক্ষেপ করবে যোগীর পুলিশ সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু ওয়াকিবহাল মহলে।

Last Updated : Feb 12, 2020, 10:54 PM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

ABOUT THE AUTHOR

...view details