দিল্লি, 2 অক্টোবর : হাথরসের ঘটনায় বারবার পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে । প্রশাসনের অকর্মণ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে । বছর কুড়ির দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে বারবার আঙুল উঠছিল যোগী সরকারের দিকে । যদিও ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, ধর্ষণের কোনও প্রমাণ নেই । তবুও প্রতিবাদের কণ্ঠ যেন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে । আর এই নিয়ে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী । নামলেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে । টুইটারে যোগী আদিত্যনাথ লেখেন, "রাজ্যের সব মা ও বোনের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উত্তরপ্রদেশের সরকার ।"
এদিকে হাথরসের ঘটনাকে ঘিরে বাড়তে থাকা বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে হাথরসের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর, ডেপুটি পুলিশ সুপার-সহ মোট পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ । যে বিশেষ তদন্তকারী দল ঘটনার তদন্ত করছে, তাঁদের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পাঁচ পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন তিনি ।
কখনও রাহুল-প্রিয়াঙ্কা, কখনও ডেরেক... হাথরস ইশুতে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে যোগীর পুলিশকে । এই পরিস্থিতিতে আদিত্যনাথের এই টুইট যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষার বিষয়ে আজ টুইটারে তিনি লেখেন, "উত্তরপ্রদেশে মা ও মেয়েদের ক্ষতি করার কথা যাঁরা চিন্তাও করবে, তাঁদের ধ্বংস অনিবার্য । তাঁদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে ভবিষ্যতে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে । উত্তরপ্রদেশের সরকার সব মা ও বোনেদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । এটাই আমাদের অঙ্গীকার ।"
আরও পড়ুন : "ফোন বাজেয়াপ্ত, বাড়ির বাইরে আসতে বাধা", অভিযোগ হাথরসে নির্যাতিতার পরিজনদের