অফিসের সাপ্তাহিক ছুটির পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না । মনে হয় আজও অফিস না গেলে হয় । কার ইচ্ছে করে ছুটির দিন কাটিয়ে পরের দিন সকাল সকাল উঠে আবার অফিস যেতে । আর অনেক সময়েই সপ্তাহান্তে বন্ধুদের আড্ডায় একটু মদ্যপান হয়েই যায় । যতই মনে হয়, প্রথমটাই শেষ পেগ, তা হয়ে ওঠে না । অনেকে ছুটির দিন পাবে সময় কাটাতে ভালোবাসেন । এসব হয়েই থাকে ।
কিন্তু মদ্যপানের সবথেকে খারাপ অংশ হল হ্যাংওভার । পরের দিন সকালে মাথা ধরে থাকা । কেমন হত যদি সেই হ্যাংওভারে একটু বেশি করে ঘুমানো যেত ? অফিস না থাকত ? সকাল সকাল অ্যালার্ম বেজে না উঠত ?
এসব আবার হয় ?
হ্যাঁ হয় ! হ্যাংওভার লিভ বা হ্যাংওভার ডে ! অর্থাৎ, আগের রাতে আপনার শেষ পেগের পর যদি পরদিন হ্যাংওভার থাকে, তবে আপনি ছুটি নিতে পারবেন । জানি, ভাবছেন কোন বস এত সহৃদয় হবেন যে হ্যাংওভারের জন্য আলাদা ছুটি দিচ্ছেন । এই বেনজির ছুটি দেয় লন্ডনের ডাইস কম্পানি ।
তারা 2017 সাল থেকে ছুটির খাতায় 'হ্যাংওভার লিভ'-ও যোগ করেছে । অর্থাৎ, কর্মীরা হ্যাংওভারের জন্যও ছুটি নিতে পারবেন । আর সত্যি বলতে, অনেক সময় হ্যাংওভার যথেষ্ট পীড়া দেয় । তখন, ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়া খুব কষ্টের ।
মালিক ও কর্মীর মধ্যে সবসময় একটি দেওয়াল থেকে যায় । সেজন্য মিথ্যে বলতে হয় অনেক সময়েই । হ্যাংওভারের পরিবর্তে বলতে হয় শরীর খারাপ । আসলে এই দেওয়ালটিই ভাঙতে চেয়েছিল ডাইস । ডাইসের CEO জানান, কর্মীদের অনেক সময় মিথ্যে বলতে হয় । মিথ্যে সিক লিভ নিতে হয় । তার থেকে ভালো সত্যি বলেই ছুটি নিতে পারবেন কর্মীরা ।
ডাইস নামে এই কম্পানিতে বছরে চারটি হ্যাংওভার লিভ নিতে পারবেন কর্মীরা । তাঁদের বসকে হোয়াটস অ্যাপে সংগীত, বিয়ার এবং অসুস্থতার ইমোটিকন পাঠিয়েই নিতে পারবেন এই লিভ ।