দিল্লি, 28 জুলাই: 4 অগাস্ট কোরোনা সংক্রমণ নিয়ে সংসদীয় কমিটির সামনে বক্তব্য রাখবেন সদ্য নিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
1 আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই সংসদীয় কমিটির সামনে তাঁর প্রথম বক্তব্য হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার তরফে কমিটির 30 জন সদস্যকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আগামীকাল বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে আরেকটি সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে বিদেশমন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক । এই বৈঠকের বিষয়বস্তু হল "কোভিড-19 বিশ্ব প্রতিক্রিয়া: ভারতের অবদান ও পরবর্তী পদক্ষেপ"।
বর্তমানে দেশে মোট কোরোনায় আক্রান্তের 50 শতাংশই দেশের 15টি শহরের বাসিন্দা । কামরূপ মেট্রোপলিটন, পূর্ব গোদাবরী, উত্তর 24 পরগনা, নাসিকের মতো শহর ও জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এই বিষয়ে এক সরকারি আধিকারিক জানান, " ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জায়গায় কোরোনা সংক্রমণের পরিমাণ বেশি। "
দেশের কয়েকটি জায়গায় অত্যাধিক হারে সংক্রমণের উদাহরণ হিসেবে নাসিকে আক্রান্তের হার বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। এপ্রিল মাসে নাসিকে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 10 । মে মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে 204 এবং জুন মাসে তা বেড়ে 1,986-এ পৌঁছায়। জুলাইয়ে নাসিকে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের গণ্ডি পার করেছে।
একইভাবে দেশের সর্বোচ্চ আক্রান্ত 15টি শহরের মধ্যে পাঁচটি শহরের সুস্থতার হার দেশের মোট সুস্থতার হারের তুলনায় বেশি। বর্তমানে দেশে কোরোনায় আক্রান্তদের সুস্থতার হার 64.24 শতাংশ। এদিকে দিল্লিতে সুস্থতার হার 87.3 শতাংশ, চেন্নাইতে 83.2 শতাংশ, আহমেদাবাদে 79.2 শতাংশ, মুম্বইতে 72.9 শতাংশ এবং রায়গড়ে সুস্থতার হার 64.50 শতাংশ।
দেশের মৃত্যুহারও বর্তমানে 2.25 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে 9.5 লাখ মানুষ। জুনের মাঝামাঝি সময়ে দেশে সুস্থতার হার ছিল 53 শতাংশ । তা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে 64 শতাংশ । গত 24 ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে 35 হাজার 176 জন । স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা 4 লাখ 96 হাজার 988।