পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

পাকিস্তানে ধৃত 2 কাশ্মীরি যুবক

পাকিস্তানে ধৃত দুই যুবক কাশ্মীরের বন্দিপোরা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে । তাঁদের মধ্যে একজন দু'বছর ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার ।

By

Published : Jun 14, 2020, 6:15 AM IST

Two Kashmiri youth arrested in Pakistan
পাকিস্তানে আটক কাশ্মীরি যুবক

শ্রীনগর, 13 জুন : কাশ্মীরের দুই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করল পাকিস্তানি পুলিশ । নুর মহম্মদ ওয়ানি এবং ফিরোজ় আহমেদ নামে ওই দুই ভারতীয় নাগরিক চরবৃত্তি করছিলেন বলে দাবি পাকিস্তানের । এই দুই যুবক কাশ্মীরের বন্দিপোরা জেলার গুরেজ় শহরের বাসিন্দা ।

পাকিস্তানের গিলগিটের SSP দাবি করেন, তাঁঁরা দুই কাশ্মীরি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান স্পাই এজেন্সি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংস বা RAW-এর হয়ে গুপ্তচরের কাজ করার অভিযোগ রয়েছে । ধৃতদের মধ্যে ফিরোজ় আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দু'বছর ধরে সে নিরুদ্দেশ ছিল । পাকিস্তানের হাতে ভাই ফিরোজের গ্রেপ্তারির কথা শুনে বিস্মিত দাদা জ়াহুর আহমেদ লোন । তিনি বলেন, “আমার ভাই 2018 সালের নভেম্বর মাস থেকে নিরুদ্দেশ ছিল । আমরা পুলিশের কাছে নিরুদ্দেশের অভিযোগ দায়ের করেছিলাম । সেইসময় আমি জম্মুতে থাকতাম । পরিবারের কাছ থেকে ভাইয়ের নিরুদ্দেশ সম্পর্কে জানতে পারি ।”

উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ়ের শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ় স্থানীয় গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরে কাজ করতেন । তাঁঁর বাবা কৃষক । তিন ভাই ও ছয় বোন আছে ফিরোজ়ের । তাঁর দাদা আরও বলেন, “ভাইয়ের নিরুদ্দেশ হওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়ে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে । তদন্ত চলাকালীন ফিরোজ়ের ফোনে কল লিস্ট চেক করে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ । সেই সময় জানা যায় রউফ আহমেদ নামে 175 টেরিটোরিয়াল আর্মির এক ব্যক্তির সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা বলেছিল ফিরোজ় । তদন্ত চলাকালীন ওই ব্যক্তিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল । এখন মনে হচ্ছে রউফের কাছে নিগৃহীত হয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করতে বাধ্য হয়েছিল ফিরোজ় ।”

ফিরোজ়ের দাদা জানিয়েছেন, তাঁঁরা এই ঘটনার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করবেন । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি । টেরিটোরিয়াল আর্মির ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হবে । ওনার জন্য আমার ভাই নিয়ন্ত্রণরেখা পার করতে বাধ্য হয়েছিল ।” ফিরোজ়ের সঙ্গে ধৃত আর এক ব্যক্তি নুর মহম্মদ ওই এলাকার বাসিন্দা । কিন্তু তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না ।

ফিরোজ়ের দাদা জ়াহুর বলেন, “ভাই নিরুদ্দেশ হওয়ার পর এক মহিলাকে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন । আমাদের বলা হয়েছিল ওই মহিলা এবং তাঁঁর এক পুরুষ সঙ্গী আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে । পরে বুঝি ওই ঘটনা সত্যি নয় ।” কাশ্মীরের IGP বিজয়কুমার বলেন, “এই সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণ পাইনি । পরে এই বিষয় কথা হবে ।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details