দিল্লি,22 মার্চ : একটার পর একটা দিন কাটছে, দেশজুড়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । কী করে এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা সম্ভব ? তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে । এই পরিস্থিতিতে কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশবাসীর উদ্দেশে জনতা কারফিউ পালনের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনে দেশবাসী কতটা সাড়া দেন, তার উপর নির্ভর করছে কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আমরা কতটা সফল হব, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আজ দেশজুড়ে জনতা কারফিউ
আজ জনতা কারফিউ । দেশ আজ এক অভূতপূর্ব "শাটডাউন" পালন করবে ।
এই মুহূর্তে দেশে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৫ । গতকালে একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে৷ এই ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য গোপন রাখা এবং অবহেলার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা চিন বা ইট্যালির মতোই একলাফে অনেকটা বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই ৷ একদিনে অনেকে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসার পর এই আশঙ্কা আরও বেড়েছে ৷ কেউ কেউ বলছেন, যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের তথ্য প্রমাণিত হয় তাহলে কোরোনা সংক্রমণ দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় পর্যায়ে খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে ৷ যা যথেষ্টই ভয়ের ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছে, ‘‘কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা আচমকাই উর্দ্ধমুখী হয়েছে ৷’’
বিপদ আঁচ করে তাই আগেভাগেই জনতা কারফিউয়ের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, কোরোনা ভাইরাস ইনফেকশনের চেন ভাঙতে প্রত্যেকে যেন স্বেচ্ছায় কোয়ারানটাইনে থাকেন। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছে, সংক্রমিতের কাছেপিঠে এলে এই ভাইরাস দ্রুত অন্যের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। সেই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে খুব একটা সময় লাগবে না। তাই এই ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়, আগেভাগেই সতর্ক হয়ে যাওয়া।