হায়দরাবাদ : 1999 সালের মে ও জুলাই । রক্তাক্ত হয়েছিল সীমান্ত । কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধ বেঁধেছিল ভারত আর পাকিস্তানের । সংঘর্ষের সূত্রপাত 1999 সালের ফেব্রুয়ারিতে । নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে অর্থাৎ, ভারতের দিকে বেশ কিছু সেনা ছাউনি দখল করার জন্য সেনা পাঠিয়েছিল পাকিস্তান । পাকিস্তানের এলিট স্পেশাল সারভিসেস গ্রুপ ও নর্দার্ন লাইট ইনফ্যানট্রির চার থেকে সাতটি ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ঘাঁটি গেড়েছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে । নিজেরা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে এমন প্রায় 132 টি এলাকায় নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করেছিল পাকিস্তান ।
লোয়ার মুশকো উপত্যতা, দ্রাসের মারপো লা এলাকা, কার্গিলের কাকসার, সিন্ধু নদের পূর্বপাড়ে বালটিক সেক্টর, চোরবাটলা সেক্টরের উপরের দিকে ও সিয়াচেনের দক্ষিণে তুরতুক সেক্টরে পাকিস্তানের সেনা ঢুকে গেছিল ।
তারপর কীভাবে ভারতীয় সেনা নিজেদের এলাকাগুলি পুনরুদ্ধার করেছিল ? পাকিস্তানের দখল করা এলাকাগুলি ফের নিজেদের কবজায় নিতে কী কী কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় সেনা? সেই ইতিহাসের পাতা থেকে আরও একবার ঘুরে আসা যাক ।
কী হয়েছিল দ্রাস সেক্টরে ?
মোড় ঘুরিয়েছিল টোলোলিং
টোলোলিংয়ের গুরুত্ব : দ্রাস সেক্টরের টোলোলিং দখল করে নিয়েছিল শত্রু শিবির । দ্রাস থেকে এই টোলোলিংয়ের দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার । শ্রীনগর-কার্গিল-লেহ সংযোগকারী সড়ক গেছে এই এলাকার উপর দিয়ে । দ্রাস সেক্টরের এই টোলোলিং-ই হল সেই জায়গা, যেখানে পাকিস্তানের সেনা সবথেকে ভিতর পর্যন্ত ঢুকে এসেছিল ।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে লড়াইয়ের পর টোলোলিং পুনরুদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা । আর এখান থেকেই মোড় ঘুরে যায় ভারতের পক্ষে । প্রথম দিকে নাগা, গাড়োয়াল ও গ্রেনেডিয়ার ব্যাটেলিয়ন শত্রুপক্ষকে টোলোলিং থেকে হঠাতে ব্যর্থ হয়েছিল । এরপর আরও শক্তি বাড়ায় ভারতীয় সেনা । কামানের সংখ্যা বাড়ানো হয় । একটি নতুন ব্যাটেলিয়ন ও রাজস্থানের রাইফেলের দু'টি বাহিনী নিয়ে আসা হয় টোলোলিংয়ের জমি ফিরে পেতে ।
কী হয়েছিল যুদ্ধে?
- 12 জুন রাজপুতানা রাইফেলের দুটি কম্পানি নিজেদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে । সি কম্পানির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর বিবেক গুপ্তা । ডি কম্পানির নেতৃত্বে ছিলেন মেজর মোহিত সাক্সেনা ।
- আরও দুটি কম্পানি একটি ফায়ারবেস তৈরি করেছিল । সি ও ডি কম্পানি অসফল হলে এই দুই কম্পানির কাজ ছিল, তাদের জায়গা নেওয়া ।
- ডি কম্পানি প্রথমে দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে এগোয় অবজেক্টিভ পয়েন্ট 4590-র দিকে ।
- খুব কাছ থেকে গুলির লড়াই হওয়ার পরেও কম্পানিটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল ।
- আর ঠিক এই সময়েই সি কম্পানি আক্রমণ শানায় ।
- কিন্তু টোলোলিং টপের কাছাকাছি গিয়ে থমকে যায় সি কম্পানিটি । এরপর মেজর বিবেক গুপ্তা নিজে পরিবর্ত কম্পানিকে নেতৃত্ব দিয়ে টোলোলিং টপ পর্যন্ত নিয়ে যান ।
- একাধিক জখম থাকা সত্বেও, শত্রুপক্ষকে সেখান থেকে শেষ না করা পর্যন্ত বীরের মতো নেতৃত্ব দেন বিবেক গুপ্তা ।
- এরপর কম্পানির দায়িত্ব নেন ক্যাপ্টেন মৃদুল কুমার সিং । আর্টিলারি ফরওয়ার্ড অবজ়ারভেশন অফিসার । বয়সও অনেকটাই কম । শত্রুপক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর যে পালটা আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তার জন্য জওয়ানদের প্রস্তুত করেন ।
- পাকিস্তানের মধ্যে তখন জ্বলছিল প্রতিহিংসার আগুন । এভাবে টোলোলিং টপ নিজেদের হাতছাড়া করে ফেলায় পাকিস্তান লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল । এরপর পাকিস্তানের দিক থেকে প্রতিআক্রমণও আসে । কিন্তু সি কম্পানি তা প্রতিহত করতে সফল হয় ।
- রাজপুতানা রাইফেলের দুই কম্পানির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম বি রবীন্দ্রনাথ তখন মেজর পি আচার্যর নেতৃত্বে একটি এ কম্পানিকে পাঠান পয়েন্ট 4590-র দিকে ।
- দুই কম্পানি এত কাছাকাছি থাকা সত্বেও কামান আনা হয়েছিল । পাশাপাশি, টোলোলিংয়ের উত্তরের ঢাল থেকে শত্রু শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার দায়িত্বে ছিল বি কম্পানি ।
- অবশেষে 13 জুলাই রাজপুতানা রাইফেলের দুই কম্পানি মিলে টোলোলিং পুনরায় উদ্ধার করতে পেরেছিল ।
এই যুদ্ধে সুবেদার ভানওয়ার লাল, কম্পানি হাবিলদার মেজর যশবীর সিং, হাবিলদার সুলতান সিং, নারওয়ারিয়ে ও নায়েক দিগেন্দ্র সিং অতুলনীয় সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছিলেন ।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন ক্যাপ্টেন এন কেনগুরুসে । তাঁর দায়িত্ব ছিল কমান্ডো বাহিনীকে নিয়ে হাম্প ও টোলোলিংয়ের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা । পাশাপাশি আর নতুন করে যাতে শত্রুপক্ষের কোনও সেনা টোলোলিংয়ে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও ছিল কেনগুরুসের উপর ।
দ্য টাইগার হিল
- আশেপাশের পাহাড়গুলির তুলনায় টাইগার হিল অনেকটাই উঁচু । তবে শ্রীনগর-কার্গিল-লেহ সংযোগকারী সড়কের থেকে মাত্র 10 কিলোমিটার দূরে এই টাইগার হিল । টাইগার হিলেও কবজা করেছিল পাকিস্তানের সেনা । ফলে শ্রীনগর-কার্গিল-লেহ সংযোগকারী সড়কের উপরেও বেশ নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গেছিল তারা । ফলে টোলোলিং পুনরুদ্ধার করার পর সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল টাইগার হিলকে শত্রু মুক্ত করা ।
- দ্রাস সেক্টরের মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ লড়াই ছিল টাইগার হিলে । টাইগার হিলের উপর থেকে খুব সহজেই শ্রীনগর-কার্গিল-লেহ সংযোগকারী সড়কে নজর রাখতে পারত শত্রুপক্ষ । ফলে খুব সহজেই সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকায় কামানের গোলা বর্ষণ করার সুবিধা ছিল তাদের । 192 মাউনন্টেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার এম পি এস বাজওয়া টাইগার হিল পুনরুদ্ধার করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন 18 গ্রেনেডিয়ার, 8 শিখ ও 2 নাগা ব্যাটেলিয়নের উপর । সঙ্গে ছিল কামান ।
- 3 জুলাই শত্রুশিবিরের উপর হামলা চালায় ভারতীয় জওয়ানরা । প্রায় 120 টি ফিল্ড ও মাঝারি বন্দুক, 122 mm মাল্টিব্যারেলড গ্র্যাড রকেট লঞ্চার ও মর্টার দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় শত্রুঘাঁটি ।
- শুধু তাই নয়, 2 জুলাই ও 3 জুলাই আকাশপথেই হানা দেয় বায়ুসেনা । অভিযান চলাকালীন, বেশ কয়েক দফায় টাইগার হিলের শত্রুঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল বায়ুসেনা ।
- টাইগার হিলের দুটি পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ । প্রথমটি হল টাইগার হিল থেকে প্রায় 500 মিটার পশ্চিমে "ইন্ডিয়া গেট" ও অন্যটি হল "হেলমেট" ।
- পাকিস্তানের 12 নম্বর নর্দার্ন লাইট ইনফ্যানট্রির একটি কম্পানি সেখানে অবশিষ্ট ছিল ।
- 3 জুলাই 18 গ্রেনেডিয়ার খারাপ আবহাওয়া ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে চারিদিক থেকে হামলা চালায় অবশিষ্ট পাকিস্তানের সেনার উপর । পাশাপাশি কামান ও মর্টার দিয়েও হামলা চালানো হয়েছিল ।
- 4 জুলাই গভীর রাত 1 টা 30 মিনিটে টাঙ নামে একটি জায়গা নিজেদের দখলে নেয় ভারতীয় সেনা ।
- ডি কম্পানিকে পূর্ব দিক থেকে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন নিমবালকর । তাঁর এই অতর্কিত হানায় হকচকিয়ে যায় বিপক্ষ শিবির । কিছু গুলির লড়াইয়ের পর টাইগার হিলের পূর্ব দিক শত্রুমুক্ত করেন তিনি । টাইগার হিল টপ থেকে মাত্র 100 মিটারের মধ্যেই এই এলাকা ।
- লেফটেন্যান্ট বলওয়াল সিংয়ের নেতৃত্বে ঘাতক কমান্ডো ও সি কম্পানিও চমকে দেয় শত্রুদের । এই এলাকাটি ছিল টপ থেকে মাত্র 30 মিটার দূরে ।
- 4 জুলাই ভোর চারটের সময় সচিন নিমবালকর ও বলওয়ান সিং তাঁদের জওয়ানদের নিয়ে কামান দিয়ে হামলা চালান শত্রুঘাঁটিতে । কিছুসময় খালি হাতে লড়াইয়ের পর ওই এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছিল ভারতীয় সেনা ।
- যদিও 18 নম্বর গ্রেনেডিয়ারস টপ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল, তবে তাঁদের যোগাযোগ করাটা মোটেও সহজ ছিল না । ভারতীয় জওয়ানদের হামলার প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠার পরই প্রত্যাঘাত শুরু করে পাকিস্তানের সেনা ।
- 8 নম্বর মাউন্টেন ডিভিশন এটা বুঝতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না পশ্চিমভাগের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিকভাবে করা যাচ্ছে, ততক্ষণ পাকিস্তানের সেনাকে পুরোপুরি হটানো যাবে না ।
- হেলমেট ও ইন্ডিয়া গেট, দুটি জায়গায় পশ্চিমদিকের ঢালে । মহিন্দর পুরি ও এম পি এস বাজওয়া 8 নম্বর শিখ ব্যাটেলিয়নকে নির্দেশ দেন হেলমেট ও ইন্ডিয়া গেটের দখল নেওয়ার জন্য ।
- টাইগার হিলের এই পশ্চিমের ঢালটি 1.5 কিলোমিটার প্রশস্ত । এই এলাকাটি অনেকটা খাড়া । আর এখান দিয়েই 8 নম্বর শিখ ব্যাটেলিয়ন এগোতে থাকে ।
- মেজর রবীন্দ্র সিং ও লেফটেন্যান্ট আর কে শেরাওয়াতের নেতৃত্বে চার JCO ও 52 জন জওয়ান মিলে ইন্ডিয়া গেটের দখল নেয় ।
- লড়াইয়ে অনেকে প্রাণ হারালেও, শেষ পর্যন্ত 5 জুলাই হেলমেট শত্রুমুক্ত করে ভারতীয় সেনা ।
- এরপর 8 জুলাই পুরো টাইগারহিল নিজেদের দখলে নেয় ভারতীয় সেনা জওয়ানরা । 18 নম্বর গ্রেনেডিয়ার টাইগার হিলে ভারতের পতাকা উত্তোলন করে ।
এরিয়া থ্রি পিম্পলস
থ্রি পিম্পলস হল গা ঘেষাঘেষি করে থাকা তিনটি পাহাড়ের চূড়া । টোলোলিংয়ের পশ্চিমে মারপোলার পয়েন্ট 5100-র খুব কাছেই এই এলাকা । ভৌগোলিকভাবে থ্রি পিম্পলস থেকে খুব সহজেই জাতীয় সড়ক, দ্রাস গ্রাম ও স্যান্ডো নালার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় । এখানে সবথেকে উল্লেখ্য নল, লোন হিল ও থ্রি পিম্পলস ।
দ্য অপারেশনস
- হামলার ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে 120টি বন্দুক, মর্টার ও রকেট লঞ্চার নিয়ে 20 নম্বর আর্টিলারি ফায়ার ইউনিট শত্রুঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করতে থাকে ।
- মেজর মোহিত সাক্সেনার নেতৃত্বে ডি কম্পানি ও মেজর পি আচারিয়ার নেতৃত্বে এ কম্পানি হানা চালায় । দু'জনেই মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিলেন । কিন্তু তারপরেও দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যান । শেষ পর্যন্ত নিজেদের জীবনের বিনিময়ে ওই এলাকা শত্রুমুক্ত করেছিলেন তাঁরা ।
- মেজর শহিদ হওয়ার পরেও এ কম্পানির বাকি জওয়ানরা পিছিয়ে আসেনি । শত্রুপক্ষ প্রতিআক্রমণের চেষ্টা করলেও আমাদের জওয়ানরা শুধুমাত্র মাঝারি আকারের বন্দুক দিয়েই তা প্রতিহত করেছিলেন ।
- এরপর নলে এসে বি কম্পানির সঙ্গে মিলিত হয় এ কম্পানি । এখান থেকে থ্রি পিম্পলসের উপর নজর রাখাটা খুবই সহজ কাজ ছিল ভারতীয় জওয়ানদের জন্য । এখান থেকেই লাগাতার গোলাবর্ষণের মাধ্যমে শত্রুঘাঁটিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন জওয়ানরা ।
- এরপরের লক্ষ্য ছিল লোন হিল । লোন হিলে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল শত্রুপক্ষের MMG ।
- রাতের অন্ধকারে শুধুমাত্র চাঁদের আলোয় এই অপারেশন সফল করাটা মোটেও সহজ কাজ ছিল না ।
- শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে মোহিত সাক্সেনা তাঁর কম্পানিকে পাহাড়ি চোরাপথ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান । তিনি দক্ষিণ দিক থেকে শত্রুঘাঁটির উপর হামলা চালান । আর এর জন্য তাঁকে 200 ফুটেরও বেশি উঁচু একটি খাড়া এলাকা পার করতে হত । তাঁর এই সাহসী নেতৃত্বে লোন হিল নিজেদের দখলে নেয় ভারতীয় সেনা । তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাইফেলম্যান জয় রাম ও ক্যাপ্টেন এন কেনগুরুসে ।
- 29 জুন থ্রি পিম্পলস শত্রুমুক্ত করে ভারতীয় সেনা ।
পয়েন্ট 5140 শত্রুমুক্ত করা
- পয়েন্ট 5140 আয়তনের দিক থেকে বেশ বড় ছিল । তাই ওই এলাকা শত্রুমুক্ত করতে ভারতীয় সেনা বিভিন্ন দিক থেকে হামলা করার পরিকল্পনা নেয় ।
- পূর্ব দিক থেকে হামলা চালায় 18 নম্বর গাড়োয়াল রাইফেলের জওয়ানরা । দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে হামলা চালায় 1 নম্বর নাগা । আর দক্ষিণ দিক থেকে হামলা চালায় 13 নম্বর জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলস ।
- 19 জুন 13 নম্বর জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলস-এর বি কম্পানি ও ডি কম্পানি দক্ষিণের পাহাড়ি ঢাল দিয়ে পয়েন্ট 5140-র দিকে এগোতে থাকে । আর অতর্কিত হানায় চমকে দেয় শত্রুশিবিরকে । ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা অসাধারণভাবে লড়েছিলেন । পাকিস্তানের চার জওয়ানকে খালি হাতে মেরেছিলেন তিনি । এরপর তাঁর সাফল্যের ইঙ্গিত হিসেবে তিনি তাঁর কমান্ডিং অফিসারকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, "ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর" ।
- ক্যাপ্টেন এস এস জামওয়ালের নেতৃত্বে পয়েন্ট 5140-র শত্রুঘাঁটিতে শেষ হামলাটি আসে । 20 জুনের সকালের মধ্যে সবকটি শত্রুঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয় ।
মাশকো উপত্যকা