শাহিনবাগের মতো পাবলিক প্লেস অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখা গ্রহণযোগ্য নয় : সুপ্রিম কোর্ট

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয় । তার অন্যতম মুখ ছিল শাহিনবাগ । শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের সরানোর দাবি জানিয়ে আবেদন হয় সুপ্রিম কোর্টে । শীর্ষ আদালত জানায়, সর্বসাধারণের ব্যবহারের জায়গা বা পাবলিক প্লেস অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না ।

দিল্লি, 7 অক্টোবর : সর্বসাধারণের ব্যবহারের স্থান (পাবলিক প্লেস) অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না । শাহিনবাগের রায়ে এ'কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট । নাগরকিত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ অবস্থান চলছিল শাহিনবাগে । লকডাউন শুরুর সময় অবস্থান উঠিয়ে দেওয়া হয় । আজ সুপ্রিম কোর্ট বলে, অনির্দিষ্টকালের জন্য পাবলিশ প্লেস বা রাস্তা দখল করে রাখলে সাধারণ মানুষে অসুবিধা হয়, তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হয় । যা গ্রহণযোগ্য নয়।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয় । তার অন্যতম মুখ ছিল শাহিনবাগ । প্রতিবাদকারীরা অধিকাংশই মহিলা । রাতের পর রাত শীতের মধ্যেও অবস্থানে ছিলেন তাঁরা । সঙ্গে ছিল আম্বেদকরের ছবি । শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উদাহরণ হয়ে উঠেছিল শাহিনবাগ ।

শাহিনবাগের মতো জায়গা দীর্ঘদিন আটকে থাকলেও কোনওভাবেই সরানো যায়নি প্রতিবাদকারীদের ।শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের সরানোর দাবি জানিয়ে আবেদন হয় সুপ্রিম কোর্টে । বিচারপতি এস কে কউল, অনিরুদ্ধ বসু এবং কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি হয় । আজ রায় শোনায় বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ ।

শীর্ষ আদালত জানায়, আমাদের এটা স্পষ্ট করতে হবে । সর্বসাধারণের ব্যবহারের জায়গা বা পাবলিক প্লেস অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না । তা শাহিনবাগ হোক বা অন্য যে কোনও স্থান । এইরকম প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য নয় । কর্তৃপক্ষকেই দায়িত্ব নিতে হবে । এই ধরনের স্থান বাধাহীন রাখতে হবে । আদালতের রায়ের জন্য প্রশাসনের অপেক্ষা করা উচিত নয় ।

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারে অবশ্যই আদালত সমর্থন জানায় । কিন্তু তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে হওয়া উচিত বলেই জানায় ডিভিশন বেঞ্চ ।

এর আগে 21 সেপ্টেম্বর আদালত জানায়, "আমাদের প্রতিবাদের অধিকার এবং রাস্তা অবরোধের ভারসাম্য রেখে চলতে হবে । সাংসদীয় গণতন্ত্রে প্রতিবাদ সংসদে এবং রাস্তায় হতে পারে । তবে প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হতে হবে । "