দিল্লি, 19 সেপ্টেম্বর : জাতীয় শিক্ষানীতি, 2020-র মাধ্যমে দেশের স্কুলশিক্ষায় বাণিজ্যবিভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । বিগত কয়েক দশকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি হারে কর্মসংস্থান হয়েছে । অনলাইন ব্যবসা, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন অ্যাকাউন্টিং, ট্যাক্সেশন ও আর্থিক প্রযুক্তির কারণে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে । পড়ুয়ারা কমার্স বিষয়ক কোর্সগুলিতে ভরতি হচ্ছেন । বিগত পাঁচ বছরে স্নাতক স্তরে 40 থেকে 50 শতাংশ পড়ুয়া কমার্স নিয়ে পড়াশুনা করেছেন । শুধুমাত্র কমার্সের জন্য কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে ।
ভারতে, বাণিজ্য বিভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে পড়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় । যাঁরা উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে CEC ও স্নাতক স্তরে B.Com নিয়ে পড়েছেন, তাঁদেরই বাণিজ্যবিভাগ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রয়েছে । এর অর্থ, পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষা শেষ না করা পর্যন্ত ঠিকভাবে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না ।
এতদিন পর্যন্ত, মাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে ছয়টি আবশ্যিক বিষয়ে পড়তে হত । এরপর উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে গিয়ে নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত । এই ব্যবস্থায় শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ক ক্ষেত্রের পড়ুয়াদেরই সুবিধা হত । এখানেই পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে । এখন থেকে ক্লাস নাইন থেকেই স্কুলগুলিকে কমার্স বিষয়ক পঠনপাঠন শুরু করতে হবে । বাণিজ্যিক বিষয়গুলিতে ন্যূনতম ধারণা থাকলে তবে তাঁরা বিবেচনা করে নিজের পছন্দের বিষয়ে স্নাতকস্তরে ভরতি হতে পারবে ।