বেঙ্গালুরু, 25 জুলাই : কর্নাটকের তিন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে বহিষ্কার করলেন বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার ৷ তাঁদের মধ্যে রমেশ জারকিহোলি ও মহেশ কুমারথাহাল্লি কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন ৷ অন্যজন হলেন নির্দল বিধায়ক আর শংকর ৷ যিনি প্রথমে কংগ্রেস-জনতা দল (সেকুলার)-কে সমর্থন জানিয়েও পরে মত বদল করেন ৷
আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে স্পিকার বলেন, "তিনজন বিধায়ককে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই ৷ প্রত্যেকে আমার ব্যবহার দেখছেন ৷ 31 জুলাইয়ের মধ্যে ফিনান্স বিল পাশ না হলে আর্থিক অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে । এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তা দেখাই আমার কর্তব্য । সোমবার 29 তারিখ ৷ আমাকে দায়িত্ব ছাড়তে হবে ৷" কিন্তু, বাকি বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে রয়েছে ৷
যদি স্পিকার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করতেন সেক্ষেত্রে কর্নাটক বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা হত 225 ৷ তখন ম্যাজিক ফিগার হত 113 ৷ আজ তিন বিধায়ককে বহিষ্কারের পর বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল 222 ৷ আর ম্যাজিক ফিগার 112 ৷ এখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা ৷ কারণ BJP-র হাতে এখন 105 জন বিধায়ক রয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে কর্নাটকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারেন রাজ্যপাল ৷ সেই ইঙ্গিতও মিলেছে BJP-র মুখপাত্র জি মধুসূদনের কথায় ৷ একটি সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, "যদি স্পিকার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করেন তাহলে রাজ্যপাল (বাজুভাই বালা) রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতে পারেন ৷ এরকম পরিস্থিতিতে আমরা সরকার গঠনের দাবি জানাব না ৷"
অন্যদিকে, সব বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে ম্যাজিক ফিগার হবে 105 ৷ কিন্তু, তাঁরা পুনরায় নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত BJP-কে সংখ্যালঘু সরকার চালাতে হবে ৷