স্পেনের ইতিহাসে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ স্বাস্থ্য সংকট চলছে । শুধুমাত্র মাঝবয়সি এবং প্রবীণরা নন, যুবারাও কোভিড–19 এ আক্রান্ত হচ্ছেন । তবে 10 থেকে 14 দিনের চিকিৎসার পর যুবারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়েও উঠছেন । যুবাদের মধ্যে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম ৷ এমনটাই মত কোভিড–১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত স্পেনীয় ডাক্তার ইথেল সিকোয়েরার । স্পেনের ক্যাসানোভায় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে একজন চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ইথেল । তিনি ইনটারন্যাশনাল হেলথ কো–অপারেটিভ অর্গানাইজেশনের কো–অর্ডিনেটরও । 2000 সাল থেকে 2008 সাল পর্যন্ত ইথেল অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরে রুরাল ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের একজন চিকিৎসক হিসাবে যুক্ত ছিলেন । ইনাডুর সঙ্গে তিনি স্পেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
গোটা দেশ বর্তমানে লকডাউনের আওতায় । যতক্ষণ না জরুরি কোনও দরকার পড়ে, ততক্ষণ কেউ বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না । ইতিমধ্যে 36,000 মানুষ কোভিড–19 পজিটিভ সাব্যস্ত হয়েছেন । এদের মধ্যে 13,500 মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে । চিনে যেমন প্রবীণদের মধ্যে নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের অধিক হার লক্ষ্য করা গিয়েছে, স্পেনে আবার যুবাদের মধ্যে কোরোনা পজিটিভের সংখ্যা বেশি দেখা গিয়েছে । সরকার নিরন্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে । যাদের মধ্যে নভেল কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে, তাদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । অন্তত 70 শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে PHCC’র চিকিৎসকরা ফোন কল এবং অনলাইনে রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । চিকিৎসক এমনকী প্যারামেডিক্যাল কর্মীদেরও যখন তখন, যত্র তত্র বেড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে । আক্রান্ত পরিবারদের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে না এসেও যতটা সম্ভব সেরা চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে । শুধুমাত্র যে সব রোগীদের উপসর্গ বেশি এবং প্রবল, তাদেরই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এবং ICU-তে রাখা হচ্ছে । কারও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে তাদের ভেন্টিলেটরে রাখা হচ্ছে । হাসপাতালগুলিতে ভর্তি অথবা ভেন্টিলেটরে রয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা এমনিতে কম । দেশ এই রকম পরিস্থিতি কখনও দেখেনি । যুবাদের পর্যন্ত হাসপাতালে 14 দিনের জন্য ভর্তি করা হচ্ছে । এটাই এই প্যানডেমিকের প্রাবল্য বর্ণনা করছে ।