তাদের ছোটো সংস্থা বলে উল্লেখ করা হয় । কিন্তু, তা সত্ত্বেও দেশে 12কোটি চাকরি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের । অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অবস্থা এমনিতেই খুবই খারাপ । আর কোরোনা সংকট তাদের আরও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে । লকডাউন এবং ব্যবসায়িক আদান প্রদান কমে যাওয়ার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের সংস্থাগুলি (MSME) কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর প্যাকেজের উপর বড় ভরসা করেছিল । তিন মাস আগে সরকারি তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ কোটি টাকার একটি প্যাকেজের । যাতে 45 লাখ সংস্থা সুবিধা পাবে বলে বহুলভাবে প্রচারিত হয়েছিল । কিন্তু তা ছোট সংস্থাগুলির ভাগ্য বদলাতে পারেনি । রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তা ছোট সংস্থাগুলির খারাপ অবস্থার ছবিকেই তুলে ধরেছে । যে পরিসংখ্যান গত বছর নিশ্চিত করেছিল ঋণের অপ্রতুলতা MSME–গুলির খারাপ অবস্থাকে জারি করে রেখেছিল ।
লকডাউনের জন্য ঋণদানের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় 17 শতাংশ কমে গিয়েছে ! তহবিলের অভাব, পুরানো ঋণে সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং দক্ষ শ্রমিক ও কাঁচামালের অভাব ছোটো সংস্থাগুলিকে সমস্যায় ফেলছে । বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্র দশ বছরের জন্য সামান্য সুদে একটি ঋণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এবং তার প্রয়োগও করেছে । এই পরিকল্পনায় ঋণ শোধের পদ্ধতিও সহজ করে দেওয়া হয়েছে । যার মধ্যে বেশির ভাগটাই তুলে নেওয়া হয়েছে । কিন্তু একটা তথ্য সামনে এসেছে যে ছোটো সংস্থাগুলির থেকে ব্যাঙ্কগুলি 9 থেকে 14 শতাংশ সুদের হারে ঋণ দিচ্ছে । ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ার কারণ কী, তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক । যখন ছোট সংস্থাগুলির সাহায্যের প্রয়োজন, যাতে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে বড় সাহায্য হয়, তখন অনেক সুদের হার চাপিয়ে এবং ঋণশোধের বিষয়টি আরও কড়া করে গিয়ে এই প্যাকেজের আসল উদ্দেশ্যে সম্পর্কেই প্রশ্ন তুলে দেওয়া হচ্ছে ।