হায়দরাবাদ, 20 অগাস্ট : গত 35 দিনে হায়দরাবাদে প্রায় 6 লাখ মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন । হায়দরাবাদের সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি সেন্টার (CCMB) এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিকেল টেকনোলজি (IICT)-র একটি যৌথ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই উদ্বেগজনক তথ্য । সংক্রমিতদের নাক ও মুখের মাধ্যমেই নয়, তাঁদের মলের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে দাবি গবেষকদের । এই সংক্রমণের বিস্তার সম্পর্কে জানার জন্য নিকাশি বর্জ্যের নমুনা পরীক্ষা করেছিলেন তাঁরা ।
গবেষকরা বলছেন, নিকাশি বর্জ্য়ের নমুনার মধ্যে থাকা SARS-CoV-2 সংক্রমক নয়, ফলে এপিডেমিওলজিকাল অধ্যয়নের জন্য এই নমুনাগুলি উপযুক্ত । যেহেতু একজন সংক্রমিত ব্যক্তির নমুনা 35 দিন পর্যন্ত এই ভাইরাস ছড়াতে পারে, তাই এই গবেষণার মাধ্যমে এক মাসে পরিস্থিতি কী হতে পারে তার সামগ্রিক অনুমান পাওয়া যাবে । হায়দরাবাদে প্রতিদিন ব্যবহৃত 1,800 মিলিয়ন লিটার জলের মধ্যে 40% বিভিন্ন সিউয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে (STPs) প্রক্রিয়াজাত করা হয় ।
প্রসঙ্গত, এই গবেষণায় হায়দরাবাদের প্রায় 80% STP থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে, প্রায় 2 লাখ মানুষ এই ভাইরাস ছড়িয়েছে । হায়দরাবাদের সমগ্র নিকাশি ব্যবস্থার মাত্র 40% STP-তে পৌঁছায় । তাই এই তথ্যের বিচারে সামগ্রিকভাবে সম্ভাব্য সংক্রমিতের সংখ্যা যা প্রায় 6 লাখ, যা শহরের মোট জনসংখ্যার প্রায় 6% । এর মধ্যে উপসর্গযুক্ত, উপসর্গহীন এবং শেষ 35 দিনে COVID-19 থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এমন মানুষও রয়েছে । তেলাঙ্গানা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যের তুলনায় যা অনেক বেশি ।
CCMB-র ডিরেক্টর ডা. রাকেশ মিশ্র বলেন, “আমাদের এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট, আক্রান্তদের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ উপসর্গহীন এবং তাদের হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন ছিল না । এছাড়াও, স্বাস্থ্য দপ্তর এই প্যানডেমিক পরিস্থিতি যথাযথভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে । শহরের হটস্পটগুলি চিহ্নিত করতে এবং সংক্রমণের হারের গতিশীলতা পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন নাগরিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে যদি এই ধরনের আরও গবেষণা করা হয় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আরও সহায়তা করা যাবে ।”