2014 সালে ভারতের প্রতিরক্ষায় রপ্তানি ছিল অন্তত 2 হাজার কোটি টাকার । গত দুই বছরে আমরা 17 হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করেছি । ফেব্রুয়ারি মাসে লখনউয়ে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন , দেশের লক্ষ্য হল, আগামী পাঁচ বছরে এই খাতে 35 হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করা । প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি পুর্নবার সেই লক্ষ্যের কথা সুনিশ্চিত করেছেন এবং একাধিক উদ্যোগ চালু করেছেন, যাতে প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) আনা যায় ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (MoD) তরফে বিশ্বের 75-এরও বেশি দেশ থেকে 200 জন রাষ্ট্রদূত সম্বলিত একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । ভারত , রাশিয়া, জাপান, ইজ়রায়েল এবং অ্যামেরিকা থেকে 70 শতাংশ উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সামরিক হার্ডওয়্যার আমদানি করে । 2014 সালে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিরক্ষায় সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন । যার মাধ্যমে সেই সব অস্ত্রের উপকরণ, সাবসিস্টেম এবং যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি করার পথ সুনিশ্চিত হয় । 2014 সাল পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশনের তরফে 210টি লাইসেন্স জারি করা হয়েছে । প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে , সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 460 । দ্বিতীয় বৃহত্তম সমরাস্ত্র আমদানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে 23 তম স্থানে রয়েছে । আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের অঙ্গ হিসাবে প্রকাশিত "ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রোমোশন পলিসি 2020 "-র খসড়ায় এই অস্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য রাখা হয়েছে । প্যানডেমিকের ভয়াবহতার জেরে , দেশে বর্তমানে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আরও বাস্তবায়ন প্রয়োজন । অন্যদিকে , সেনাবাহিনীকে আত্মনির্ভর করতে কেন্দ্রের উচিত উচ্চমানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া ।