কথায় আছে, দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছে । এমন উপমা টানার কারণ, ঘরে থেকে, ঘরের খেয়ে-পরে ঘরের কাউকেই ছোবল মারে কালসাপ । কিন্তু, সাপ কি সবসময় ছোবলই মারে ? সাপ কি শুধুই ক্ষতি করে ? না, অনেকক্ষেত্রে তেমনটা নয় । বেশকিছু ক্ষেত্রে সাপ সাহায্যও করে এবং সাপ পোষাও হয় । সাপকে রীতিমতো ঘরে আমন্ত্রণও জানানো হয় ।
ভাবছেন, সাপুড়েদের কথা বলছি ? না, বলছি এক অন্য জীবের কথা । নিজের বাচ্চাদের বাঁচানোর জন্য এরা ঘরে সাপ ডাকে । রীতিমতো আওয়াজ করে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় । এদের ডাক শুনলে আপাতভাবে মনে হবে কোনও বাচ্চাদের সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর । সাপ এলে তাদের ঘরে রেখে নিশ্চিন্তে খাদ্য সঞ্চয় করতে যায় তারা । এতে বাচ্চারা সুরক্ষিতও থাকে, আবার বাচ্চাদের খেলার সঙ্গীও জোটে ।
বলছি, অ্যামেরিকার স্ক্রিচ আউল বা পেঁচার কথা । পেঁচার এই জাতটির দেখা মেলে সাধারণত উত্তর-পূর্ব অ্যামেরিকায় । এরা 6 থেকে 10 ইঞ্চির হয়, থাকে গাছের কুঠুরিতে । পেঁচা বললেই সাধারণত সাপ খায়, কীট-পতঙ্গ খায় এসবই মাথায় আসে । কিন্তু, এই জাতের পেঁচারা সাপ খাওয়ার পাশাপাশি সাপ ঘরে পোষেও । যারা তাদের বাচ্চাদের পাহারা দেয় ।
এই জাতের সাপটি পাওয়া যায় মূলত টেক্সাসে । এদের বলে ব্লাইন্ড স্নেক । ব্লাইন্ড বলেই যে তারা পুরোপুরি দেখতে পায় না এবং পেঁচারা তাদের তুলে এনে রাখে তা নয় । এরা দেখতে পায়, কিন্তু একদম অস্পষ্ট । বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা গবেষণা করে দেখেছেন, এই সাপরা নিজেদের শিকার খোঁজে ঘ্রাণ শক্তির দ্বারা ও জিভ দিয়ে । এর আশপাশে কোনও কীট-পতঙ্গ এলেই এরা খেয়ে ফেলে । এদের আকারও ছোটো হয়, 12 ইঞ্চির কাছাকাছি ।