দিল্লি, 14 ফেব্রুয়ারি : ওমর আবদুল্লাকে আটক করে রাখা নিয়ে এবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট ৷ উপত্যকা থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই প্রায় ছয় মাস ধরে আটক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা ৷ এই দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে আটক করে রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওমর আবদুল্লার বোন ৷ এবার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আজ জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট ৷
জম্মু ও কাশ্মীর পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট, 1978-এর আওতায় আটক করে রাখা হয়েছে ওমর আবদুল্লাকে ৷ বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চ 2 মার্চের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে ৷ ওমর আবদুল্লার বোনের পক্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি লড়ছেন কপিল সিবাল ৷ এই ধরনের আর কোনও মামলা হাইকোর্টে জমা পড়ে আছে কি না সেই বিষয়েও কপিল সিবালের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট ৷
আরও পড়ুন : মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন ওমর, আটকের পিছনে যুক্তি কেন্দ্রের
পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বেরিয়ে ওমর আবদুল্লার বোন সারা আবদুল্লা পাইলট বলেন, "বিচারব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৷ আশা করছি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান মিলবে । আমরা চাই ভারতের বাকি সমস্ত নাগরিকদের মতো কাশ্মীরিরাও সমান অধিকার পাক । আমরা সেই জন্যই আজ এখানে এসেছে । সেই দিনটার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি ।"
আরও পড়ুন : ওমর আবদুল্লাহর গৃহবন্দী : সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বোন
জম্মু ও কাশ্মীরে 370 ধারা বিলোপের পর 5 অগাস্ট থেকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে ওমর আবদুল্লাকে । কোনও অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে । এরপর তাঁকে PSA-র অধীনে আটক করা হয় ৷ সারা তাঁর পিটিশনে লিখেছেন, "আমার ভাইকে গৃহবন্দী করে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি এটা বাক স্বাধীনতা লঙ্ঘনও । সব রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিদ্রুপ করার সম্মিলিত চেষ্টা ৷" পিটিশনে সারা আরও বলেন, একইভাবে "সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে" অন্য বন্দীদেরও আটক করা হয়েছে ৷
যদি কেন্দ্রের তরফে আটক করে রাখার পক্ষে সাফাই দিয়ে বলা হয়, ভোট বয়কটের ডাক থাকা সত্ত্বেও ভোটারদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন তিনি ৷ এছাড়া আরও অনেকক্ষেত্রেই আমজনতাকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর মধ্যে ৷ এই কারণেই ওমর আবদুল্লাকে আটক করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 2 মার্চ ৷