দিল্লি, 15 জুলাই : টিকটক ও হ্যালো অ্যাপ দেশ-বিরোধী বিষয়বস্তু প্রদর্শন করছে । তাই, এই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা উচিত । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) শাখা স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের (SJM) ।
প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন SJM-এর সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন । তাঁর অভিযোগ, এই দুই অ্যাপের মাধ্যমে ভারতের যুব সমাজ "কায়েমি স্বার্থের" প্রতি প্রভাবিত হচ্ছে । টিকটকের মাধ্যমে দেশবিরোধী বিষয়বস্তু ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে । যা সমাজকে ভঙ্গুর করে তুলতে পারে ।
হ্যালো অ্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, "ওরা 7 কোটি টাকা খরচ করে 11 হাজার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে বিকৃত করিয়েছে । এমন কী, কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অনেক বর্ষীয়ান নেতাকেও ব্যঙ্গ করা হয়েছে । BJP-র শীর্ষনেতারাও একসময় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে এবিষয়টি জানিয়েছিলেন ।"
মহাজন দাবি করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উচিত, এখনই টিকটক, হ্যালো সহ সব ধরনের চাইনিজ় অ্যাপ বন্ধ করা উচিত । কারণ, এরা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নষ্ট করছে । তাই জাতীয় সুরক্ষা ও নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষাকে মাথায় রেখে নয়া আইন প্রণয়ন করে এই ধরনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করা উচিত ।
সম্প্রতি টিকটকে ধর্মীয়-বিদ্বেষমূলক ভিডিয়ো ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল একদল যুবকের বিরুদ্ধে । কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে তাবরেজ় আনসারি নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় । এরপরই ওই যুবকরা টিক-টকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে । সেখানে তারা বলে, "আপনারা হয়তো নিরীহ তাবরেজ় আনসারিকে হত্যা করতে পারেন । কিন্তু, আগামীদিনে ওঁর ছেলে এর প্রতিশোধ নেবে । সব মুসলমান জঙ্গি এটা বলবেন না ।" এরপরই চারিদিকে শোরগোল পড়ে যায় । এই ভিডিয়োটি ডিলিট করার পাশাপাশি টিকটক ওই পাঁচ যুবকের অ্যাকাউন্টও সরিয়ে দেয় । সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে মামলা দায়ের হয় ।
এর আগে পর্নোগ্রাফিতে উৎসাহ দেওয়ায় "টিকটক"-কে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট । এর দু'দিনের মধ্যে গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপলকে স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় ইলেকট্রনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক । পরে অবশ্য ফের অ্যাপ চালুর অনুমতি দেয় আদালত ।