দিল্লি, 16 অক্টোবর : চলতি আর্থিক বছরে একটিও দু'হাজার টাকার নোট ছাপা হয়নি ৷ তথ্য জানার অধিকার আইনের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানাল শীর্ষ ব্যাঙ্ক ৷
কালো টাকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য ও জাল নোট বন্ধের জন্য 2016 সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার 500 ও এক হাজার টাকার নোট বাতিল করে ৷ তারপর নতুন 500 টাকার নোট চালু করা হয় ৷ সে সময়ই বাজারে আসে দু'হাজার টাকার নোট ৷
2016-17 আর্থিক বছরে 354 কোটি 20 লাখ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল ৷ 2017-18 আর্থিক বছরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় 11 কোটি 15 লাখে ৷ 2018-19 সালে সেই সংখ্যা আরও কমে যায় ৷ 4 কোটি 60 লাখ টাকার নোট ছাপা হয় ওই আর্থিক বছরে ৷ আর চলতি আর্থিক বছরে একটিও নোট ছাপা হয়নি, জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ৷
কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ ? অর্থনীতিবিদরা এবিষয়ে নানা যুক্তি দিচ্ছেন ৷ এক পক্ষের দাবি, কালো টাকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য বেশি মূল্যের নোট (মূলত দু'হাজার টাকা) ছাপার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু সীমান্তে 6 কোটি হিসাব বহির্ভূত টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরই এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয় বলে অভিমত তাঁদের ৷ কারণ, বাজেয়াপ্ত হওয়া নোটের পুরোটাই ছিল দু'হাজার টাকার নোট ৷
অন্যদিকে, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) দাবি করে, ফের জাল নোট বানানো শুরু হয়েছে ৷ যে কাজ মূলত হচ্ছে সীমান্তের ওপারে ৷ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে 50 কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যার সিংহভাগই দু'হাজার টাকা ৷
নোট বাতিলের সময় কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, জাল নোট বাজেয়াপ্ত, জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধর মতো একাধিক পদক্ষেপ করতেই এই সিদ্ধান্ত ৷ কিন্তু, মাত্র তিন বছরের মধ্যে ওই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল ৷ বিরোধীদের দাবি, সে সময় মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত যে কতটা ভুল ছিল, তা এই ঘটনা প্রমাণ করছে ৷