দিল্লি, ১১ মার্চ : প্রাথমিকভাবে চারটি বিষয় নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে নোটবাতিলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলা হয়। পরে "বৃহত্তর জনস্বার্থে" নোটবাতিলের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানায় তারা। RTI-র (তথ্য জানার অধিকার বা Right to Information Act) মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এসেছে।
RTI-র জবাবে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈঠকে ডিরেক্টররা জানান, নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু, সেই আর্থিক বছরের GDP-র উপর তা স্বল্পকালীন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
RBI বোর্ডের তরফে বলা হয়, জাল নোট চিন্তার বিষয়। তবে দেশে যে পরিমাণ নগদ অর্থ রয়েছে সেই তুলনায় শতাংশের হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এছাড়া, বেশিরভাগ কালো টাকা নগদ হিসেবে গচ্ছিত নেই। তা সোনা, আবাসনের মতো সম্পত্তির আকারে গচ্ছিত রয়েছে। ফলে এই সিদ্ধান্তের ফলে সেইসব সম্পত্তির উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নোটবাতিল ঘোষণার মাত্র আড়াই ঘণ্টা আগে বৈঠকে বসে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড। বোর্ডের অনুমোদনের আগেই ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে পুরোনো ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা নোটবাতিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অনুমোদন পাঠানো হয়।