কারনাল (হরিয়ানা), 13 অক্টোবর : পরপর দু'বার সীমান্ত টপকে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা ৷ এবার পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে যে দিল্লি সবরকমভাবে প্রস্তুত সে কথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের গলায় ৷ কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে সবরকমভাবে তৈরি সেনাবাহিনী ৷ শুধু ইমরান খানের অনুমতি পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন সেনারা ৷
সার্জিকাল স্ট্রাইক বা বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের স্মৃতি এখনও টাটকা ৷ জঙ্গি মোকাবিলায় পাকিস্তানের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে উঠছে বারবার ৷ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়েছে ইমরান খান প্রশাসনের ৷ মার্কিন মুলুক থেকে আর্থিক সাহায্য অনেক ক্ষেত্রে কাটছাট হয়েছে ৷ রাষ্ট্রসংঘ বারবার সতর্ক করেছে ৷ বিশ্বমঞ্চে যখন সন্ত্রাস দমন ইশুতে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ছে, তখনই ইমরান খান প্রশাসনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল দিল্লি ৷ প্রতিরক্ষার মন্ত্রীর কথায়, "যদি ইসলামাবাদ চায়, তাহলে যে কোনও প্রকার সাহায্য করতে প্রস্তুত দিল্লি ৷ সেনা দিয়ে বা অস্ত্র দিয়ে সবরকম সাহায্য করবে ভারত ৷ "
সন্ত্রাসবাদ ইশুতে ভারত-পাকিস্তান চাপানউতোর দিনদিন চরমে উঠেছে ৷ নওয়াজ় শরিফের প্রধানমন্ত্রিত্বের আমল থেকেই বারবার বৈঠকে বসার সবরকম প্রস্তার উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি ৷ উলটে দিল্লির দাবি, আগে সন্ত্রাস দমনে কার্যকর পদক্ষেপ করুক ইসলামাবাদ ৷ তারপর পরবর্তী ভাবনাচিন্তা ৷ সীমান্ত সন্ত্রাসের পাশাপাশি জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়া, কাশ্মীরে উগ্র জাতীয়তাবাদকে ইশু করে পরিস্থিতি তপ্ত করার মতো অভিযোগও রয়েছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ৷ নওয়াজ় শরিফ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমলে সন্ত্রাস ইশুতে কার্যকর পদক্ষেপ করবে এমন ভাবনাচিন্তা করেছিল মোদি প্রশাসন ৷ কিন্তু, দিন যত এগিয়েছে স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তব যে কতটা তফাত, তা স্পষ্ট হয়েছে ৷ যে ইমরান প্রশাসনের দিকে তাকিয়েছিল দিল্লি, সেখান থেকেই কার্যত হতাশা ফিরেছে ৷ জঙ্গি দমনে পাকিস্তান যে আগের তিমিরেই রয়েছে তা বারবার সামনে এসেছে ৷ আর এবার তাই পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি দমনের কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে ৷