লখনউ, 1 অক্টোবর : হাথরসের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর 48 ঘণ্টা কেটে গেছে । কিন্তু বিক্ষোভের আগুন নেভেনি । আজ সকালে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা হন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা । কিন্তু তাঁদের হাথরস ঢোকার আগেই আটকানো হয় । পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে রাহুলের । চলে ধাক্কাধাক্কি । পড়ে যান তিনি । শেষে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে আটক করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ । ভয় পেয়েই রাহুলদের আটকিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধি ।
সেখানকার প্রশাসনের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের কয়েকজন কোরোনায় আক্রান্ত । সেই জন্যই বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । কিন্তু বিরোধী শিবিরের দাবি, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বললে চাপ বাড়বে যোগী সরকারের উপর আর তাই এভাবে তাঁদের আটকানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে ।
টানা 15 দিন লড়াইয়ের পর 29 সেপ্টেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার । তাঁর জিভে গভীর ক্ষত ছিল । শিরদাঁড়া ভেঙে যাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি । পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান চিকিৎসকরা । গণধর্ষণ ও অত্যাচারের পরও পুলিশ সহজেই অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের । এদিকে রাতারাতি নির্যাতিতার মৃতদেহ পুলিশ জোর করে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ । তাঁর পরিবারের সদস্যদের সেই সময় বাড়িতে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ ।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে ভীমসেনা । ভীমসেনার প্রধান চন্দ্রশেখর আজ়াদ জানান, দেহ দাহ করার সময় তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখেছিল পুলিশ । এখনও তিনি গৃহবন্দী ।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন BSP প্রধান মায়াবতী । তিনি বলেন, "উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যদি নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারেন তবে তিনি ইস্তফা দিন । তাঁকে তাঁর সঠিক জায়গা গোরখনাথ মঠে পাঠাতে আমি কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাচ্ছি । তিনি যদি মন্দির পছন্দ না করেন, তবে রামমন্দির তৈরির কাজ করুন তিনি ।"