দিল্লি, 16 এপ্রিল: "বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানে ভারতের সাফল্যের মূল কারণ হল উন্নততর প্রযুক্তির ব্যবহার। রাফাল যুদ্ধবিমান যদি ঠিক সময়ে দেশে আনা যেত এবং বায়ুসেনায় সেটির ব্যবহার শুরু হত তাহলে ফলাফল আরও ভালো হতে পারত।" ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া আজ একটি সেমিনারে এই মন্তব্য করেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদল গুলি রাফাল ইশুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল। আর নির্বাচন চলাকালীন বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্য কোথাও গিয়ে সামান্য হলেও স্বস্তি দিল গেরুয়া শিবিরকে।
তিনি বলেন, "বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকে আমাদের সঙ্গে ছিল প্রযুক্তি। আমরা উন্নততর প্রযুক্তির অস্ত্রও নির্ভুলভাবে চালনা করতে পারি। আমরা দিন দিন প্রযুক্তিতে আরও উন্নত হচ্ছি। আমরা উন্নতমানের মিগ-21S, বাইসন এবং মিরাজ-2000 তৈরি করতে পেরেছি। ফলাফল আমাদের পক্ষে আরও ভালো হতে পারত যদি সঠিক সময় রাফাল যুদ্ধবিমান দেশে আনা যেত।"
14 ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় 40 জন CRPF জওয়ান শহিদ হন। এরপরই 26 ফেব্রুয়ারি বায়ুসেনা পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ট্রেনিং ক্যাম্পে হামলা চালায়। প্রতিশোধ নিতে পরের দিন পাকিস্তানের বায়ুসেনা জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন সেনা ছাউনিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। কিন্তু ব্যর্থ হয়।
2016 সেপ্টেম্বরে ভারত ফ্রান্সের থেকে 36টা রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় 58 হাজার কোটি টাকা। দূরপাল্লার বায়ু প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র S-400 নিয়ে ভারত ও রাশিয়া চুক্তি করে।
বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেন, "সেনাবাহিনীর মধ্যে বায়ুসেনাই প্রযুক্তির উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে ছোটো থেকে ছোটো মেশিনে উচ্চতর প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয় যা চরম তাপমাত্রা এবং চাপের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে পারে।" গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বালাকোটে বায়ুসেনার নিখুঁত এবং পরিকল্পনামাফিক এয়ারস্ট্রাইকের প্রশংসা করেছিলেন।