দিল্লি, 31 জানুয়ারি : 26 জানুয়ারি ট্র্যাক্টর ব়্যালিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লি । সেদিন হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের একাংশের বিরুদ্ধে । এছাড়া ওই দিন হিংসা ছড়ানোর প্রায় 1 হাজার 700টি ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে পেয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ । তার ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত 38টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । গ্রেপ্তার করা হয়েছে 84 জনকে ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 26 জানুয়ারি বিক্ষোভকারী কৃষকরা নিজেদের মিছিলের রুট ভেঙে ট্র্যাক্টর নিয়ে ও হেঁটে দিল্লিতে ঢুকে পড়ে । সেখানে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ । তখনই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে । আইটিও এলাকায় ধুন্ধুমার বাঁধার পর লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভরত কৃষকরা । সেখানে লাগানো হয় পতাকাও । যদিও হিংসার ঘটনায় তাঁদের কোনও হাত নেই বলে দাবি করেন কৃষক নেতারা । সে দিনের ঘটনায় 300-র বেশি পুলিশকর্মী জখম হন ।
এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের এই ঘটনার পরই অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় কৃষক সংগঠনগুলি । এমনকী পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে আন্দোলন ছেড়ে ফিরে যান অনেকেই । পাশাপাশি আন্দোলন স্থান ফাঁকা করে দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল যোগী সরকারের তরফে । যদিও কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত । আর সংবাদমাধ্যমের সামনে এই কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি । যা ফিরে যাওয়া কৃষকদের ফের আন্দোলনমুখী করে ।