কলকাতা, 7 জুলাই : চিনা সেনার পিছু হঠায় প্রমাণ হয়, আমাদের যুক্তিই সত্যি ৷ চিনা সেনা আমাদের অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল ৷ আজ টুইটারে এই ভাষাতেই সুর চড়ালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি ৷ পাশাপাশি টুইটারে তিনি লেখেন, "ভারতীয় সেনার মতো হিমালয়ের অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া সহ্য করতে অভ্যস্ত না হওয়ায় চিনা সেনা পিছু হঠতে পারে ৷ তবে, এটা আবারও আমাদের যুক্তির সত্যতাই প্রমাণ করে যে, তারা আমাদের অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল ৷"
তিনি আরও লেখেন, "ওরা অন্য অধিগৃহীত জায়গা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে ৷ কিন্তু, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা এক ইঞ্চিও নড়ব না ৷"
গতকালই পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই কিলোমিটার পিছনে সরেছে চিনা সেনা ৷ ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পর তাঁবু, গাড়ি ও বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে চিন ৷ তবে, গালওয়ান নদীর পার্শ্ববর্তী দুর্গম এলাকায় এখনও অস্ত্রবাহী গাড়ি মোতায়েন রেখেছে চিন ৷ ভারতীয় সেনা সেদিকে নজর রেখেছে ৷
15 জুন ভারত-চিন সংঘর্ষের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাজুড়ে অস্থায়ী শিবির তৈরি করে চিনা সেনা ৷ জবাবে ভারতীয় সেনার তরফেও উপত্যকায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয় ৷ পরিস্থিতির সুরাহা করতে সম্প্রতি দুই দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার স্তরে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার সীমান্তরেখা থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সীমান্ত থেকে তাদের গাড়ি, তাঁবুসহ সেনাবাহিনী দুই কিমি পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছে ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে সরাসরি ঘটনাস্থান পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ৷