মাইসুরু(কর্নাটক), 25 এপ্রিল : কর্মীদের অনেকেরই রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । তারপরই জানা যায়, মাইসুরুর যে ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টে তাঁরা কাজ করেন সেখানে সম্প্রতি চিন থেকে ওষুধের কাঁচামাল আনা হয়েছিল । এরপরই ওই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্ট থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে, এই সন্দেহে আগেই তা সিল করে দিয়েছিল প্রশাসন । এবার এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কর্নাটক সরকার ।
মাইসুরুর নানজানগুড প্ল্যান্ট । এই প্ল্যান্টেই কোরোনা প্রতিরোধে অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন ডিহাইড্রেট ও অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন মোনোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি তৈরির জন্য চিন থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসা হয়েছিল । তারপরেই এই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টের কর্মীদের অনেকেই কোরোনায় আক্রান্ত হন । শুধু তাই নয়, এই জেলার মোট আক্রান্ত 88 জনের মধ্যে 73 জনের ওই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টের বা সেখানকার কর্মীদের সংস্পর্শে আসার তথ্য রয়েছে । তাই ওই প্ল্যান্ট থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে এই সন্দেহে 7 এপ্রিল তা সিল করে দেওয়া হয় ।
আজ এই ঘটনারই তদন্তের নির্দেশ দিল কর্নাটক সরকার । মুখ্যসচিব টি এম বিজয় ভাস্কর মাইসুরুর কোরোনা নোডাল অফিসার হর্ষ গুপ্তাকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে । যদিও জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্স লিমিটেডের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাইসুরুর নানজানগুড প্ল্যান্টে চিন থেকে যে কাঁচামাল আনা হয়েছিল তাতে ভাইরাসের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি । এই কম্পানির এক আধিকারিক 16 এপ্রিল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, " সরকার পরিচালিত পুনের জাতীয় ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির তরফে চিন থেকে আসা কাঁচামালের পরীক্ষার যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে কোরোনা নেগেটিভ এসেছে । "