গান্ধিনগর, ১২ মার্চ : কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের পর প্রথম জনসভা করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা। কংগ্রেস নেত্রী হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণ দেওয়ার জন্য তিনি বেছে নিলেন নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাত। আজ সভায় BJP-কে আক্রমণ করে প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন করেন, "২০১৪ সালে যারা বড়বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের প্রশ্ন করুন আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা কোথায় গেল। জিজ্ঞাসা করুন নারী নিরাপত্তা নিয়ে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেসব কোথায় গেল? কোথায় গেল চাকরি?"
প্রিয়াঙ্কা বলেন, "এবারের নির্বাচনে যে মূল ইশুগুলিতে লড়াই হবে, তা হল নারী নিরাপত্তা, বেকারত্ব এবং কৃষি সংকট।" তিনি আরও বলেন, "সেই সব ইশুগুলিকেই তুলে ধরতে হবে যেগুলি আপনাদের সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এবং দেখতে হবে কেমন করে আপনারা এগিয়ে যেতে পারেন। কেমন করে যুবক-যুবতিরা চাকরি পেতে পারে, কেমন করে নারীরা নিরাপদ বোধ করতে পারে, কৃষকদের জন্য কী করা যেতে পারে, এগুলিই নির্বাচনের ইশু।"
আজ প্রিয়াঙ্কা বলেন, "আপনাদের ভোটই আমাদের অস্ত্র। ওরা চরিত্রের ব্যাপারে বলে, এই দেশের চরিত্র সবসময়ই ঘৃণার বাতাসকে ভালোবাসা দিয়ে ঢেকে দেয়।" উল্লেখ্য আহমেদাবাদে এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, "বেছে বেছে হিসেব নেওয়া আমার চরিত্রে আছে।" সেই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রিয়াঙ্কার আজ এই বক্তব্য। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "এই দেশ ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধের উপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে যা যা চলছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সচেতনতার থেকে বড় স্বদেশপ্রেম আর কিছুই নেই।" এরপরই তিনি বলেন, এবারের লড়াই স্বাধীনতা সংগ্রামের থেকে কম নয়। প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সবজায়গায় হিংসা ছড়ানো হচ্ছে।
আজকের জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি, UPA চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধিও ছিলেন। জনসভার আগে হয় কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। তাতে যোগ দেন সদ্য সাধারণ সচিব হওয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে কংগ্রেসের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাহুল গান্ধির উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগদান হার্দিক প্যাটেলের এদিকে আজ আহমেদাবাদে কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগদান করলেন হার্দিক প্যাটেল। কংগ্রেসে যোগদান করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধি একজন সৎ নেতা, তিনি স্বৈরাচারীর মতো আচরণ করেন না। ২০১৭ সালে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও কংগ্রেসকে সহযোগিতা করেছিলেন হার্দিক।