পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Jan 13, 2020, 6:36 PM IST

Updated : Jan 13, 2020, 7:04 PM IST

ETV Bharat / bharat

সাহস থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন ; প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ রাহুলের

CAA বিরোধী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরদ পাওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, ঝাড়খণ্ডের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনসহ বহু শীর্ষস্থানীয় নেতা ৷ জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে আগামী দিনে প্রতিবাদের রূপরেখা কেমন হবে তা নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয় ৷

CAA
ছবির সূত্র : ANI

দিল্লি, 13 জানুয়ারি : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, 2019 ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে আগামী দিনে প্রতিবাদের রূপরেখা কেমন হবে তা নিয়ে কংগ্রেসের ডাকে বৈঠকে বসেছিল 20টি বিরোধী দল ৷ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরদ পাওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, ঝাড়খণ্ডের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনসহ বহু শীর্ষস্থানীয় নেতা । বৈঠকে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও । 23, 26 ও 30 জানুয়ারি CAA বিরোধী বৃহত্তরপ্রতিবাদ সংঘটিত করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় আজকের বৈঠক থেকে ।

বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধি বলেন, "দেশের অর্থনীতি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে তা যুব সমাজকে জানানো উচিত নরেন্দ্র মোদির । কিন্তু তাঁর সেই সাহস নেই । আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যান । গিয়ে পুলিশ ছাড়া পড়ুয়াদের মুখোমুখি গিয়ে বলুন, দেশের জন্য আপনি কী কী করেছেন ।"

CAA বিরোধী আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আজকের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধি বলেন, "সরকার দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বিভেদ ও হিংসা ছড়ানোর কাজ করছে । দেশজুড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে । সংবিধানবিরুদ্ধ কাজের পাশাপাশি প্রশাসনকেও ভুলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।" বৈঠকে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ও যুবসমাজের ভূমিকাকেও তুলে ধরেন । বলেন, "দেশের সমস্ত প্রান্তে ছাত্র ও যুবরা প্রতিবাদে পথে নেমেছে । আপাতভাবে এটি CAA ও NRC বিরোধী আন্দোলন মনে হলেও আদতে এটি হল দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। " একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের উপর দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে পুলিশি হামলারও নিন্দা করেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী ।

দেশের শান্তি ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সোনিয়া গান্ধি । বলেন, "তাঁদের (প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) কথায় অনেক অসংগতি রয়েছে । দেশজুড়ে হিংসা ছড়ানোর জন্য রোজই কিছু না কিছু উত্তেজক মন্তব্য করেই যাচ্ছেন । জামিয়া, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, সর্বত্র একের পর এক হিংসার ঘটনা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তাদের অকর্মণ্যতার ছবি বারবার সামনে এসেছে ।"

Last Updated : Jan 13, 2020, 7:04 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details