কলকাতা, 22 মে : আমফান বিধ্বস্ত বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে আকাশপথে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন । তারপরই পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক হাজার কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আছড়ে পড়ে আমফান । এর জেরে এপর্যন্ত 80 জনের মৃত্যু হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় 6 কোটি মানুষ । কলকাতা, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমফানের প্রভাব জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বেশি কিছু । উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং সুন্দরবনের বেশিরভাগ এলাকায়ই পুরোপুরি বিধ্বস্ত । পরিস্থিতি দেখে আমরা কার্যত হতভম্ব ।"
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ সকালে রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী । রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙর, রাজারহাট,কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ডহারবার, পাথরপ্রতিমা ও উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাট ঘুরে দেখেন । সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর বসিরহাটে পর্যালোচনা বৈঠক করেন তিনজন । সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন,"গোটা বিশ্ব এক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে । কোরোনার বিরুদ্ধে ভারতও লাগাতার লড়ছে । কিন্তু এই কোরোনা যুদ্ধে জেতার মন্ত্র ও সাইক্লোন থেকে বাঁচার মন্ত্র সম্পূর্ণ আলাদা । কোরোনা থেকে বাঁচার উপায় হল যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন । প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না । যেখানেই যান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন । অন্যদিকে, সাইক্লোন এলে বাঁচার উপায় হল তাড়াতাড়ি কোনও সুরক্ষিত বা নিরাপদ স্থানে যেতে হবে আপনাকে । নিজেদের ঘর খালি করতে হবে । বর্তমান পরিস্থিতিতে দু'ধরনের লড়াই একসঙ্গে লড়তে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে । কিন্তু তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার যথেষ্ট চেষ্টা চালাচ্ছেন । কেন্দ্রীয় সরকারেও সর্বদা পাশে রয়েছে । ঝড়ের পূর্বে, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে এবং ভবিষ্যতে সমস্তরকম সাহায্যের ক্ষেত্রে সদা তৎপর সরকার ।"