পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

"একে অন্যকে বাঁচাতে মরিয়া বিজয়ন ও শিবশংকর", আক্রমণ কেরালা কংগ্রেসের

সোনা পাচার মামলা থেকে বাঁচতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও বহিষ্কৃত IT সচিব শিবশংকর একে অন্যকে সাহায্য করছেন৷ এমনই দাবি করল কংগ্রেস৷ বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা বলেন, "তাঁরা দুজনে মিলে অপরাধ করেছেন এবং যখন CBI ও শুল্ক বিভাগ তদন্তের গভীরে যাচ্ছে, তখন অস্থির হয়ে উঠছে বিজয়ন সরকার৷ CBI তদন্ত ঠেকাতে হাইকোর্ট অবধি পৌঁছে গিয়ে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্ত বন্ধের৷"

By

Published : Oct 20, 2020, 11:05 AM IST

pinarayi_vijayan_and_sivasankar_helping_one_another_alleges_cong
একে অন্যকে বাঁচাতে মরিয়া বিজয়ন ও শিবশঙ্কর, দাবি কেরালা কংগ্রেসের

কোঝিকোড়, 20 অক্টোবর :সোনা পাচার মামলা থেকে বাঁচতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও বহিষ্কৃত IT সচিব শিবশংকর একে অন্যকে সাহায্য করছেন৷ এমনই দাবি করল কংগ্রেস৷ সিনিয়র IAS অফিসার শিবশংকরকে প্রথমে তথ্য ও প্রযুক্তি সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে তিনি বহিষ্কৃত হন সোনা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে৷

গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে কেরালার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা বলেন, "বিভিন্ন এজেন্সির জেরার মুখোমুখি হলেও এখনও শিবশংকরের ভূমিকার একবারও নিন্দা করেননি বিজয়ন৷ অথচ দুই মন্ত্রী, জি সুধাকরণ ও কাড়াকামপল্লী সুরেন্দ্রন প্রকাশ্যে শিবশংকরের কাজের নিন্দা করেছেন৷ যদিও বিজয়ন একটি শব্দও খরচ করেননি৷ আবার তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছে শিবশংকর যে বিবৃতি দিয়েছেন বলে জানতে পারা গিয়েছে সেখানে বিজয়ন সম্পর্কে একটি কথাও নেই৷ প্রথম দিকে যখন অভিযোগ উঠছিল তখন বিজয়ন তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কথা বলে কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ অথচ তদন্ত যখন ক্রমেই গভীরে যাচ্ছে, তখন এর উত্তাপ অনুভব করতে শুরু করেছেন বিজয়ন৷"

তিনি আরও বলেন, "বিজয়ন জানেন না এমন কোনও কাজ শিবশংকর করেছেন, এ কথা কেউ বিশ্বাসই করবে না৷ তিনি বিজয়নকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করছেন৷ বিজয়ন তেমনই করছেন শিবশংকরের জন্য৷ তাঁরা দুজনে মিলে অপরাধ করেছেন এবং যখন CBI ও শুল্ক বিভাগ তদন্তের গভীরে যাচ্ছে, তখন অস্থির হয়ে উঠছে বিজয়ন সরকার৷ CBI তদন্ত ঠেকাতে হাইকোর্ট অবধি পৌঁছে গিয়ে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্ত বন্ধের৷"

শিবশংকর নিজেই তদন্ত এড়ানোর চেষ্টা করছেন৷ শুল্ক আধিকারিকদের জেরার মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি অসুস্থ বোধ করে চিকিৎসার আর্জি জানিয়েছিলেন৷ একটি বেসরকারি হাসপাতালে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি হয়, দেখা যায় তিনি সুস্থ৷ এর পরদিন তিনি স্টেট মেডিকেল কলেজে গিয়ে বলেন তাঁর পিঠে যন্ত্রণা হচ্ছে৷ শুল্ক দপ্তরের হাতে গ্রেপ্তারি এড়াতে তিনি কেরালা হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদনও করেন৷ গত সপ্তাহে তিনি আদালত থেকে একটি রক্ষাকবচ পান, যেখানে বলা হয় চলতি মাসের 23 তারিখ অবধি তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details