একটা কালো দিন এক আলোর শপথের জন্ম দিয়েছিল ৷ স্বাধীনতার সবে কয়েক মাস কেটেছে ৷ 1948 সালের 30 জানুয়ারি আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারালেন মহাত্মা গান্ধি ৷ বিষাদগ্রস্ত গোটা দেশ ৷ সেই মন খারাপের দিন থেকে মুক্তি পেতে কেরালার একটি গ্রাম পেরুমকুলমের কয়েকজন যুবক ঠিক করলেন কিছু একটা করতে হবে ৷ এমন কিছু, যা করলে তীব্র মন খারাপ যেমন কমবে, তেমনই মহান দেশনায়ককে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করা যাবে ৷ এইসঙ্গে উপকৃত হবে সমাজ, সভ্যতা ৷ যেমন কথা তেমন কাজ ৷ কৃষ্ণা পিল্লাই নামে এক যুবক এবং আরও কয়েকজন বেশ কিছু বই কিনে ফেললেন । কিছু বই সংগ্রহ করলেন গ্রামবাসীর থেকে ৷ সব মিলিয়ে শ-খানেক বই রাখা হল পিল্লাই পরিবারেরই একটি ঘরে ৷ এভাবেই পেরুমকুলমে স্থাপিত হয়েছিল প্রথম গ্রন্থাগার ৷ নাম হল বাপুজি মেমোরিয়াল লাইব্রেরি ৷
কিন্তু, একটি সাধারণ গ্রন্থাগার গড়ে কী করে বই-গ্রামের স্বীকৃতি পেল পেরুমকুলম ?
তার পেছনে রয়েছে পরের গল্প ৷ কাট টু 2016 ৷ বাপুজি মেমোরিয়াল লাইব্রেরি শক্ত চেহারা পেয়েছে ৷ এখন বড় গ্রন্থাগার সে ৷ বহু শুভাকাঙ্ক্ষীর সাহায্য মেলে ৷ বর্তমান কর্তৃপক্ষ ঠিক করল, প্রিয় পেরুমকুলম গ্রামটিকে গড়ে তোলা হবে বই-গ্রাম করে ৷ কীভাবে?