লখনউ, 23 মে : কোরোনা আক্রান্তদর বাঁচাতে নিজের প্লাজ়মা দান করলেন এক যুবক ৷ জানা গেছে, ওই 21 বছরের যুবক সদ্য কোরোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ ওই যুবকসহ মোট 7 জন নিজেদের প্লাজ়মা দান করেছেন লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (KGMU) ৷ হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান, গুরুতর অসুস্থ কোরোনা সংক্রামিত রোগীদের জন্যই এই প্লাজ়মা দান করেছেন তাঁরা ৷ তাঁদের ওই প্লাজ়মা একটি বিশেষ প্লাজ়মা ব্যাঙ্কে সংরক্ষিত করা হয়েছে ৷ তা পরবর্তী বছরে ব্যবহৃত হতে পারে ৷
কোরোনা রোগীদের বাঁচাতে প্লাজ়মা দান সেরে ওঠা যুবক-সহ 7 জনের - 7 recovered COVID-19 patient donates plasma in lucknow, uttar pradesh
বর্তমানে KGMU - এ মোট 17 জন কোরোনা পজ়িটিভ রোগী ভরতি রয়েছেন ৷ তাদের মধ্যে 2 জন মহিলা ৷ তবে তাঁদের কারও জন্যই প্লাজ়মা থেরাপি প্রয়োজনীয় নয় ৷ একারণে KGMU সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলার অন্য যে হাসপাতালগুলিতে কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা ভরতি ও যাঁদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে গুরুতর তাদের আনা হবে এই হাসপাতালে ৷

যশ ঠাকুর ৷ সদ্যই কোরোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ গতকাল রাতেই তিনি দান করেছেন প্লাজ়মা ৷ KGMU - এর মেডিসিন বিভাগের তুলিকা চন্দ্রা জানিয়েছেন, ওই যুবকের রক্তের গ্রুপ ও পজ়িটিভ ৷ বর্তমানে KGMU - এ মোট 17 জন কোরোনা পজ়িটিভ রোগী ভরতি রয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে 2 জন মহিলা ৷ তবে তাঁদের কারও জন্যই প্লাজ়মা থেরাপি প্রয়োজনীয় নয় ৷ একারণে KGMU সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলার অন্য যে হাসপাতালগুলিতে কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা ভরতি ও যাদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে গুরুতর তাদের আনা হবে এই হাসপাতালে ৷ তুলিকা চন্দ্রা আরও বলেন, KGMU তে প্লাজ়মা থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চলছে ৷ 27 এপ্রিল প্রথম জালাউন জেলার ওরাইয়ে 58 বছরের এক চিকিৎসকের শরীরে প্লাজ়মা থেরাপি প্রয়োগ করা হয় ৷ সেই প্লাজ়মা দিয়েছিলেন কানাডার মহিলা চিকিৎসক ৷ তিনিই ছিলেন KGMU - এ ভরতি হওয়া প্রথম কোরোনা আক্রান্ত ৷ যদিও এরপর 9 মে ওই 58 বছরের কোরোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ৷ পরবর্তীকালে KGMU - র তরফে জানানো হয়, ওই 2 কোরোনা আক্রান্ত রোগীর কোরোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছিল ৷
কনভালিসেন্ট প্লাজ়মা থেরাপি এক পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া ৷ কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এটি এখনও পর্যন্ত একটি পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া ৷ এই প্রক্রিয়ায়, কোরোনা সংক্রমণের পর সুস্থ হওয়া ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজ়মা ও রক্ত নিয়ে কোরোনা সংক্রামিত গুরুতর কোনও রোগীর শরীরে দেওয়া হয় ৷ সুস্থ হওয়া ব্যক্তির শরীরের রক্ত কোরোনা আক্রান্তের শরীরে গিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করে ও ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয় ৷ এই থেরাপির মাধ্যমে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির দেহের রক্ত গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে দেওয়া হয় ৷ যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই প্লাজ়মা থেরাপিকে কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না ৷ কারণ , এই থেরাপির কার্যকারিতাকে সমর্থন করার মতো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এই প্লাজ়মা থেরাপি শুধুমাত্র গবেষণা ও পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে ।