চেন্নাই, 7 অগাস্ট : নভেল কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধ আনে পতঞ্জলি । সেই ওষুধের নাম দেয় কোরোনিল ট্যাবলেট । কিন্তু, চেন্নাইয়ের একটি প্রাইভেট লিমিডেট সংস্থা আদালতে অভিযোগ করে, 'CORONIL-92 B' নামে তাঁদের একটি উপাদান আছে৷ এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চেন্নাই আদালত জানিয়ে দিল কোরোনিল নাম ব্যবহার করতে পারবে না পতঞ্জলি । একইসঙ্গে কোরোনিলকে কোরোনার ওষুধ বলায় পতঞ্জলিকে 10 লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলল আদালত ।
কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের সন্ধান করছে সারা বিশ্ব ৷ কিন্তু এখনও কোরোনার প্রতিষেধক আসেনি ৷ যেখানে পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন কোরোনা প্রতিষেধক বের করতে সেখানে যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি হঠাৎই ঘোষণা করে দেয়, তাদের আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোরোনিল কোরোনা প্রতিরোধে সক্ষম । পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, তাদের তৈরি কোরোনিল সেবন করলে কোরোনার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবে ৷ শুধু তাই নয়, পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও এই ওষুধ খেলে মাত্র 7 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন । কোনও তথ্য প্রমাণ ও মানব শরীরে তার কোনও পরীক্ষা ছাড়াই রামদেবের সংস্থা হঠাৎ এই দাবি করে বসে ৷ এর জেরে আয়ুষ মন্ত্রক পতঞ্জলির কোরোনিলের বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয় । কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পতঞ্জলির এই দাবিতে তাদের বিরুদ্ধে FIRও দায়ের করা হয় ৷ FIR হয় যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধেও। চাপে পড়ে পতঞ্জলি নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটে ৷ পতঞ্জলি থেকে পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়, তারা কোরোনার কোনও ওষুধ বের করেনি। এই ধরনের ভুয়ো দাবি করায় পতঞ্জলিকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সি ভি কার্তিকেয়ন । আদালত বলে, মানুষের ভয় ও আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে লাভের পিছনে ছুটছে পতঞ্জলি ৷ যেখানে তাদের ট্যাবলেট শুধু জ্বর, ঠান্ডা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেখানে তারা বলছে এই ট্যাবলেট কোরোনা প্রতিরোধ করে ।