দিল্লি, 27 জুলাই : "পাকিস্তান শুরু থেকে কাশ্মীর নিয়ে প্রতারণা করে আসছে । ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ সালে ওরা সেটাই করেছে । কিন্তু ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের চালাকি আবারও ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে ।" আজ কারগিল বিজয়ের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
অনুষ্ঠানে মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও তিন বাহিনীর প্রধান । ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কারগিলের শহিদদের আমার শ্রদ্ধা । যারা কারগিল থেকে তেরঙ্গা সরানোর ষড়যন্ত্র আটকে দিয়েছে । নিজেদের রক্ত দিয়ে যারা সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছে তাদের শ্রদ্ধা । তাদের মায়েদেরও আমার প্রণাম । জম্মু ও কাশ্মীরের সকল বাসিন্দাকে আমার অভিনন্দন যারা দেশের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে । ২০ বছর আগে যে বিজয় হয়েছে তা আমাদের উত্তরসূরিদের প্রেরণা জোগাবে ।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি সেনাদের শৌর্যকে সম্মান জানাতে কারগিলের মাটিতে মাথা ঠেকিয়েছি । কারগিলের বিজয়স্থান আমাকে তীর্থস্থানের অনুভূতি দিচ্ছিল । কারগিলে যা চলছিল তা যুদ্ধ । কিন্তু দেশের অন্য জায়গাতেও যুদ্ধ চলছিল । গোটা দেশ সেনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল । যুবকরা রক্তদানের জন্য কাতারে কাতারে লাইনে দাঁড়িয়েছিল । সেই সময় অটল বিহারি বাজপেয়ীজি দেশবাসীকে ভরসা দিয়েছিলেন । উনি বলেছিলেন, দেশের জন্য প্রাণ দিতে পারি । অথচ আমরা যদি তার জীবনভর দেখাশোনা না করতে পারি তাহলে তা মাতৃভূমির প্রতি কর্তব্য বলা যায় না । আপনাদের আশীর্বাদে অটলজির ওই ভরসাকে আমরা আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছি ।" ভাষণে গত কয়েক বছরে সেনা ও তাদের পরিবারের কল্যাণে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান । ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন, শহিদের বাচ্চাদের স্কলারশিপ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন । বলেন, "ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল তৈরি হয়েছে । যার কয়েক দশক ধরে অপেক্ষা ছিল ।"
এরপরই পাকিস্তানের নাম নিয়ে মোদি বলেন, "আমাদের প্রতিবেশী দেশের মনে হয়েছিল ভারত প্রতিরোধ করবে, যুদ্ধ করবে । যুদ্ধের ফলে বিশ্ব আঁতকে উঠবে । হস্তক্ষেপ করতে, পঞ্চায়েত বসাতে কিছু লোক আসবে । আর ওরা নতুন একটা রেখা টানতে সফল হবে । কিন্তু, আমরা জবাব দেব, প্রভাব ফেলার মতো জবাব দেব, সেটা ওরা আশা করেনি ।" মোদির মতে, কান্নাকাটি করার বদলে পালটা মার দেওয়ার রণনীতি শত্রুকে চাপে ফেলে দেয় । অটলজি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যে শান্তিস্থাপনে উদ্যোগী হয় তার জন্য অন্য দেশের নজর ঘুরে যায় । বলেন, "ওই দেশগুলিও আমাদের সমস্যা বুঝতে পারে । যারা আগে আমাদের প্রতিবেশী দেশের কাজকর্মে চোখ বন্ধ করে রেখেছিল ।"