দিল্লি, 2 সেপ্টেম্বর : কোরোনা মোকাবিলার জন্য তৈরি PM কেয়ার ফান্ডে পাঁচ দিনে জমা পড়েছে 3,076 কোটি টাকা ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত একটি অডিট বিবৃতি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ৷ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 2020 অর্থবর্ষে মার্চের 27 থেকে 31 তারিখের মধ্যে এই পরিমাণ অনুদান জমা পড়েছে ৷ কিন্তু যাঁরা এই তহবিলে অনুদান দিয়েছেন তাঁদের নাম কেন প্রকাশ্যে আনা হয়নি ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ৷
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, দেশবাসী স্বেচ্ছায় যে অনুদান জমা করেছে তার পরিমাণ 3,075.85 কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে অনুদান এসেছে 39.67 লাখ টাকা ৷ 2.25 লাখ টাকা দিয়ে ফান্ডটি খোলা হয়েছিল ৷ প্রায় 35 লাখ টাকার সুদও জমা পড়েছে ৷ অডিট বিবৃতিটি PM কেয়ার ফান্ডের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়েছে ৷ কিন্তু বিবৃতির সঙ্গে থাকা নোটটি প্রকাশ করা হয়নি ৷ যার অর্থ দেশ-বিদেশের কে বা কারা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন সেটা স্পষ্ট করা হয়নি ৷ যার জেরে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা ৷
"যাঁরা অনুদান দিয়েছেন কেন তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি ?" টুইটারে প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ৷ লেখেন, " অন্য সব NGO বা ট্রাস্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঙ্কের চেয়ে বেশি অনুদান প্রদানকারীর নাম প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক ৷ তাহলে কেন PM কেয়ার ফান্ডের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা মানা হবে না ? "
আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, যিনি দান গ্রহণ করছেন তিনি পরিচিত। ট্রাস্টিদেরও সকলে চেনেন। তাহলে ট্রাস্টি কেন অনুদানকারীদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে ?"
মূলত দেশের কোরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যই মার্চ মাসের শেষ দিকে PM কেয়ার ফান্ড গঠন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এই সংক্রান্ত ট্রাস্টিতে চেয়ারম্যান হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ট্রাস্টি ছিলেন মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরা ৷ গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এই তহবিলের অধীনে যে টাকা জমা পড়েছে সেটা ন্যাশনাল ডিজ়াস্টার রেসপন্স ফান্ড (NDRF)-এ স্থানান্তরের প্রয়োজন নেই ৷ এই তহবিল "সম্পূর্ণ আলাদা" ৷ সরকার যদি প্রয়োজন বোধ করে তাহলে দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলে এই অর্থ স্থানান্তরিত করতে পারে ৷