1919 সাল । তখন থেকে একের পর এক প্রজন্ম পেরিয়েছে । কিন্তু এই পরিবার নিজেদের লক্ষ্য থেকে একবিন্দু সরে দাঁড়ায়নি । দেশভাগের আগে পূর্বপুরুষের নেওয়া সংকল্পকে আজও বহন করে চলেছে । আর তারই ফলস্বরূপ একই পরিবারের 140 জন চিকিৎসক ।
দিল্লির সভরওয়াল পরিবার । এই পাঁচ প্রজন্মের মোট 140 জন চিকিৎসক । পরিবারের সকল সদস্যই তাঁদের কেরিয়ার অপশান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডাক্তারি পেশাকেই । তবে এর পিছনে একটি ইতিহাসও রয়েছে । সভরওয়াল পরিবারের লালা জীবনমল সভরওয়াল থেকে এই যাত্রা শুরু । লাহোরে স্টেশন মাস্টার ছিলেন তিনি । একদিন গান্ধিজির ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন । মাথায় হাসপাতাল খোলার জেদ চেপে যায় । তারপর নিজের চার ছেলেকে ডাক্তারি পড়ানো শুরু করেন । 1919 সাল । পরিবারে প্রথম ডাক্তারি পাশ করেন বোধরাজ সভরওয়াল । এরপর থেকে ডাক্তার পরিবারের যাত্রা শুরু ।
বাবার পথে হেঁটেই বোধরাজ রীতিমতো নিয়ম বেঁধে দেন । এরপর থেকে সবাই ডাক্তারি নিয়েই পড়াশোনা করবে । এবং বাড়ির প্রতিটি ছেলেকে ডাক্তার মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে । দেশ ভাগের পর সভরওয়াল পরিবার লাহোর থেকে দিল্লি চলে আসে । দিল্লিতে এসে পাঁচটি হাসপাতাল তৈরি করে এই পরিবার । লালা জীবনমল সভরওয়ালের নামেই প্রতিটি হাসপাতালের নাম দেওয়া হয় । পরিবারের সদস্য সার্জেন রবিন্দর সভরওয়াল বলেন, "এই রীতি নিয়ে পরিবারে বহু ঝামেলা হয়েছে । নতুন প্রজন্মের ছেলেপুলেরা পরিবারের বেঁধে দেওয়া রীতি মানতে চায়নি । অনেকে ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত মেয়েদের বিয়ে করতে চায়নি । কিন্তু আলোচনা করে, সবাই বসে সমস্যার সমাধান করেছি ।" ঝামেলা হলে, বহুবার পরিবারের সবাই মিলে গোল টেবিল বৈঠক করতেন । পরিবারের যে সদস্যরা আসতে পারতেন না, তাঁরা ফোনে যোগাযোগে করে নতুনদের বোঝানোর চেষ্টা করতেন । শেষমেশ চিকিৎসক হওয়ার পথেই হাঁটত সবাই । বলছেন, বছর 68-র গাইনেকোলজিস্ট ডা: সুদর্শনা । রবীন্দরের স্ত্রী ।