অষ্টাদশ শতকের কথা । তখন টম্যাটো খাওয়া তো দূরের কথা, টম্যাটোর নাম শুনলেই মানুষের চোখে মুখে আতঙ্ক চলে আসত । মনে করা হত, টম্যাটো মধ্যে বিষ রয়েছে । আর এটা খেলে নাকি রক্ত অ্যাসিডে পরিণত হয়ে যাবে । টম্যাটোর প্রতি মানুষের ভীতি এতটাই বেশি ছিল, যে এর নাম দেওয়া হয়েছিল বিষাক্ত আপেল ।
কিন্তু কেন এই বদনাম টম্যাটোর ?
অতীতে জনশ্রুতি ছিল, অনেক অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষ এই টম্যাটো খেয়ে হয় মারা গেছিলেন, নাহলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । আর সেই থেকেই এই ভয়ের জন্ম । অনেকক্ষেত্রেই এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি সত্যি । তবে এতে টম্যাটোর কোনও দোষ ছিল না ।
অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষেরা আগে যে ধরনের সৌখিন প্লেটে খেতেন, তাতে সীসার পরিমাণটা অনেকটাই বেশি থাকত । আর টম্যাটো চরিত্রগতভাবে তীব্র আম্লিক । ফলে যখনই কাটা টম্যাটো ওই সৌখিন প্লেটগুলিতে রাখা হত, তখন, প্লেট থেকে সীসা বেরিয়ে আসত । আর এই সীসার থেকেই বিষক্রিয়া ঘটে মারা যেতেন অনেকে । কিন্তু সেই সময়ে এই প্লেট থেকে বিষক্রিয়ার কথাটা কেউই বুঝতে পারেননি । আর সব দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল টম্যাটোর উপর ।