শ্রীনগর, 7 ফেব্রুয়ারি: ফের গৃহবন্দি ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি ৷ 370 ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে বিগত ছয় মাস ধরেই গৃহবন্দি আবদুল্লা, মুফতি ও অন্যান্য কাশ্মীরী নেতারা ৷ আজ গৃহবন্দির ছয় মাস শেষ হওয়ার আগেই গতকাল ফের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ এল পাবলিক সেফটি আইনের অধীনে ৷
পাবলিক সেফটি বা জননিরাপত্তা সুরক্ষা আইন হল এমন একটি কঠোর আইন যা তিন মাস পর্যন্ত বিনা বিচারে আটকে রাখার অনুমতি দেয় ৷ এই আটক রাখার সময়সীমা আরও দীর্ঘ করা যায় ৷
শুধু ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিই নন, ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির আলি মহম্মদ সাগর এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সরতাজ মাধবীকেও জননিরাপত্তা সুরক্ষা আইনের অধীনে আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এর মধ্যে NC-র সাধারণ সম্পাদক সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কাশ্মীরে নির্বাচনে জনগণকে প্রভাবিত করার ৷
ওমর আবদুল্লাকে হরি নিবাসে এবং মেহবুবা মুফতিকে শ্রীনগরের একটি সরকারী অতিথি নিবাসে রাখা হবে ৷ জননিরাপত্তা সুরক্ষা আইনের অধীনে ওমর আবদুল্লার বাবা ফারুখ আবদুল্লাকেও সেপ্টেম্বর মাসে গৃহবন্দী করা হয় ৷
জননিরাপত্তা সুরক্ষা আইনটি ফারুখ আবদুল্লার বাবা, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা আনেন কাঠ পাচারকারীদের রোখার জন্য ৷ এই আইনের 13 অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে,আটক করার নির্দেশ কেবল বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জারি করা যেতে পারে ৷ তারা এই আটক সম্পর্কিত কোনও তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নন, কারণ এটি ‘‘জনস্বার্থের পরিপন্থী’’ বলে বিবেচিত হয় ৷
এই আইনের দুটি ভাগ রয়েছে, প্রথমভাগে ‘জনজীবনকে ব্যাহত করা’র অভিযোগে বিনা বিচারে তিন মাস অবধি আটক করার অধিকার, যা ছয় মাস অবধি সম্প্রসারিত করা যায় ৷ অন্যদিকে রাজ্য নিরাপত্তায় বাধা’র কারণ হিসাবে দুই বছর অবধি আটক করে রাখা যায় ৷ মূলত চোরাচালানকারী, সন্ত্রাসবাদী, পাথর ছোড়া বা অন্য কোনও উপায়ে জনজীবনকে ব্যাহত করার অভিযোগে সাধারণ মানুষকে আটক করা যায় ৷ ফারুখ আবদুল্লাই প্রথম ব্যক্তি যিনি তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয় ৷