লকডাউনের জেরে কার্যত স্তব্ধ দেশ । বন্ধ প্রায় সমস্ত পরিষেবা । বন্ধ রয়েছে অফিস ও কর্পোরেট হাউজ়গুলি। এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ লোকজনই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। কিন্তু সাবধান । দেশের এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা । মুহূর্তেই তাদের হাতে চলে যাচ্ছে আমাদের কম্পিউটারের সমস্ত তথ্য ।
সাইবার চ্যালেঞ্জ
- লকডাউনের সময় অপরাধীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে
- নেটিজ়েন - ব্রাউজ়িংয়ের আগে সাবধান থাকুন
একজন সফটওয়ার কর্মচারী । বর্তমানে বাড়ি থেকে কাজ করছেন তিনি । মেল খুললেন । মেলের বিষয়- COVID-19 ৷ কিন্তু, তিনি বুঝতে পারলেন না যে, মেলটি খুলে হ্যাকারকে তাঁর ল্যাপটপে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করার রাস্তা খুলে দিলেন ৷ তারপর যে সফটওয়ার সংস্থায় ওই কর্মী কাজ করেন, সাইবার অপরাধীরা সেই সংস্থার অভ্যন্তরীণ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি দেখতে শুরু করে এবং ওই সফটওয়ার সংস্থাটির সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে ৷
অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য তার কম্পিউটারটি খুলল । স্ক্রিনে একটি বার্তা দেওয়া ছিল। লেখা ছিল নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা না হলে সিস্টেমটি স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করবে না ৷ শুধুমাত্র ব্যবহারকারীরাই বুঝতে পারেন যে তাঁদের কম্পিউটারটিতে কেউ অনুপ্রবেশ করেছে ৷ যাকে বলা হয় - ‘Ransome Ware’ ৷
লকডাউনের জেরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হয়েছে । পাশাপাশি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামগুলির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে । আর এই পরিস্থিতিকে সাইবার অপরাধীরা তাদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করছে । শুধুমাত্র আর্থিকভাবেই প্রতারণা করা হচ্ছে না আজকাল মহিলারা "শাড়ি চ্যালেঞ্জ"-এ অংশ নিচ্ছেন ৷ যেখানে তাঁদের পুরোনো একটি ছবিতে ভালো শাড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে ৷ তবে এই ছবিগুলি সাইবার অপরাধীরা বিয়ের বিভিন্ন পরিচিত ওয়েবসাইটগুলিতে দিয়ে অপব্যবহার করছে এবং সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে চ্যাট ও বন্ধুত্বের নামে অন্য ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে । সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "এই ছবিগুলি পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হচ্ছে । লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে সোশাল মিডিয়ায়, মূলত ফেসবুকে মহিলাদের অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানোর পরিমাণ আগের তুলনায় 12 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । এই বন্ধুত্বের অনুরোধের অধিকাংশটাই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে আসছে ৷ এখন "শাড়ি চ্যালেঞ্জ"-এর মতো "পারিবারিক চ্যালেঞ্জ"-ও খুব বিখ্যাত হয়েছে । যেখানে স্ত্রী ও স্বামীকে তাঁদের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হচ্ছে । সাইবার অপরাধীরা এই ফটোগুলি চুরি করছে এবং স্বামীর মুখটি বদলে দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ সাইটে আপলোড করছে । এরপর তারা সংশ্লিষ্ট মহিলাকে হুমকি দেওয়া শুরু করবে এবং ব্ল্যাকমেল করবে ৷ ওই মহিলাকে বলা হবে, "তিনি স্বামী ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন এবং তিনি চরিত্রহীন, এই বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে ৷"