পটনা, 25 সেপ্টেম্বর : বিহারের প্রাক্তন DGP গুপ্তেশ্বর পান্ডে ফের একবার সবার চোখ টানছেন তাঁর সাম্প্রতিক ভিডিয়োয়, যা তাঁকে ‘বিহারের রবিন হুড’ হিসেবে তুলে ধরেছে। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মতে, চাকরিতে থাকাকালীন পান্ডে ইউনিফর্ম পরে আত্মপ্রচারমূলক ভিডিয়ো শুট করে তাঁর ক্ষমতা ও পদের অপব্যবহার করেছেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টই বলছেন যে নিয়মনীতি ও আচরণবিধি মেনে চললে আত্মপ্রচারে কোনও দোষ নেই।
প্রাক্তন DGP এস কে ভরদ্বাজ ETV ভারতকে ফোনে বলেন, “রুল বুক বলছে যে আপনি সার্ভিস রুল না ভেঙে যা খুশি করতে পারেন। আত্মপ্রচারে কোনও দোষ নেই। এটা কোনও বড় বিষয়ই নয়। IPSদের সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার স্বাধীনতা আছে, কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়। আমি বলতে চাইছি যে আপনি সেই কাজের জন্য কোনও ফি নিতে বা আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না। আপনি গাইতে পারেন, নাচতে পারেন, পারফর্ম করতে পারেন।”
বিগ বস খ্যাত দীপক ঠাকুরের কম্পোজ় করা এই ভিডিয়ো দু’দিনের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় হাজার হাজার লাইক পেয়েছে।
পান্ডে মঙ্গলবার সার্ভিস থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন এবং বিধানসভা নির্বাচন বা লোকসভা আসনের জন্য উপনির্বাচনে লড়তে তিনি তৈরি। এই ভিডিয়োতে বক্সারের বাসিন্দা ১৯৮৭-র ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারকে দেখানো হচ্ছে সেই একলা নায়ক হিসেবে, যিনি সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় ন্যায় পাইয়ে দিয়েছেন।
শুধু ভরদ্বাজ নন, এমনকী বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারির গলাতেও একই সুর শোনা গেছে, এবং তিনি বলেছেন যে এই ভিডিও সমাজকে একটা সদর্থক বার্তা দিচ্ছে, এবং এতে কোনও পুলিশ অফিসারকে পুলিশ ম্যানুয়াল লঙ্ঘন করতে দেখা যায়নি। তিওয়ারি বলেন, “IPS অফিসার, SHO বা কনস্টেবল, যে কেউ সমাজকে ভাল বার্তা দিতে চেয়ে ভিডিও তৈরি করলে তার বিরোধিতা করা যায় না। একমাত্র শর্ত হল যে এধরণের কাজকর্মের জন্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে না।”
গুপ্তেশ্বর পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন এবং জাতীয় স্তরে নজরে পড়েন যখন তিনি সুশান্তের বাবা কে কে সিংহের FIR-এর ভিত্তিতে তদন্ত করতে চার সদস্যের টিম মুম্বই পাঠান।