বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর না হলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিক থেকে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ভারত সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ এমনটাই জানিয়েছেন প্রাক্তন এক কূটনীতিক ৷ তাঁর মতে, এই সফর প্রতিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ দমন ও শক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও উন্নত করবে ৷
প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ও বিদেশ নীতি বিষয়ক গেটওয়ে হাউজের বিশিষ্ট কর্মী রাজীব ভাটিয়া বলেন, ‘‘ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শুধু বাণিজ্যের উপর নির্ভর করে নেই ৷ প্রতিরক্ষা ও শক্তি ক্ষেত্রে কৌশলগত সহযোগিতা-সহ সমস্ত ক্ষেত্রকে ঘিরে রেখেছে ৷
ট্রাম্পের সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে 10 বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত একটি সংক্ষিপ্ত বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ৷ কিন্তু গত সপ্তাহে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত সফরে কোনও বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষরিত হবে না ৷
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমি সত্যিই বড় এক চুক্তি সংরক্ষিত করে রাখলাম ৷’’ ভারত সফরের আগে ওই নেতা বলেন, ‘‘আমি জানি না এই চুক্তি নির্বাচনের আগে সম্পাদন করা সম্ভব হবে কি না ৷ তবে আমরা ভারতের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি করব ৷’’
এই ধারণাও সত্যি হল যে নভেম্বরে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থাকায় সাধারণ একটি বাণিজ্য চুক্তিও কয়েকমাসের আগে হবে না ৷ যদিও বিদেশ সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ রাজীব ভাটিয়া, যিনি তিন দশক ধরে বিভিন্ন দেশে বিদেশনীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁর আশা, এবার ট্রাম্পের সফরের সময় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্র আরও উন্নত হবে ৷
রাজীব ভাটিয়া ETV ভারতকে বলেন, ‘‘মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট এখনও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা এবং তাঁর ভারত সফরের উপর গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে ৷’’তিনি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সফর সামগ্রিক সম্পর্কের উপরই দাঁড়িয়ে ৷ এই সফরে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী হবে ৷ সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে ৷
তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফর চিন, দক্ষিণ এশিয়া ও আফগানিস্তান নিয়ে একই দৃষ্টিকোণ তৈরিতে সাহায্য করবে ৷’’ আফগানিস্তান ও পাকিস্তান অঞ্চল থেকে তৈরি হওয়া সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ তাই এই অঞ্চলের সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব নিয়ে দুই দেশই সমানভাবে উদ্বিগ্ন ৷
দক্ষিণ চিন সাগর-সহ ইন্দো-পেসিফিক অঞ্চলে স্বাধীন চলাচল বজায় রাখার বিষয়ে ভারত ও অ্যামেরিকা একই মত পোষণ করে ৷ ওই অঞ্চলের অধিকার ও সমুদ্রের তলদেশে সম্পদ ব্যবহারে জাপান, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে ইতিমধ্যেই লড়াই শুরু করেছে চিন ৷